ওহে নাগরবর শুনহে মূরলীধর
নিবেদন করি তুয়া পায়।
চরণ-নখর মণি জনু চান্দের গাঁথুনি
ভাল শোভে আমার গলায়।।
শ্রীদামের সঙ্গে সঙ্গে যখন তুমি যাওহে রঙ্গে
তখন আমি আঙ্গিনায় দাঁড়াঞা।
মনে করি সঙ্গে যাই গুরুজনার ভয় পাই
আঁখি রইল তুয়া পথ চাঞা।।
যখন তোমায় পড়ে মনে চাহি বৃন্দাবন পানে
আল্যাইলে কেশ নাহি বান্ধি।
রন্ধনশালাতে যাই তুয়া বন্ধুর গুণ গাই
ধূমার ছলায় বসি কান্দি।।
মণি নও মানিক্য নও হিয়ার মাঝারে ধরি
ফুল নও যে কেশের করি বেশ।
নারী না করিত বিধি তোমা হেন গুণনিধি
লইয়া ফিরিতাম দেশ দেশ।।
অগোর চন্দন হইতাম শ্যামাঙ্গ লেপিয়া রৈতাম
ঘামিয়া পড়িতাম রাঙ্গা পায়।
কি মোর মনের সাধ বামনের চান্দে হাতে
বিহি কিয়ে পূরাবে আমায়।।
নরোত্তম দাসে কয় তোমার বিচিত্র নয়
তুমি মোরে না ছাড়িহ দয়া।
যেদিন তোমার ভাবে আমার এ প্রাণ যাবে
সে দিন দিহ পদছায়া।।