কানু কহে –“শুন রাখাল যতেক
হইল উছর বেলা।
শ্রীদাম সুদাম ভাই বলরাম
আর কি করহ খেলা।।
ধেনু কর জড় আর বেলা ছাড়
কালি সে খেলিহ খেলা।
আজু চল ঘরে যাব কুতূহলে
ধেনুগণ কর মেলা।।
আজুকার গোঠে হইল সঙ্কটে
বিপাক পড়িয়া গেল।
ধেনুগণ লয়া হৈ হৈ রব দিয়া
আজুকার মত চল।।”
পথে চলি যায় মাঝে যদুরায়
মুরলী-বদনে গায়।
শিঙ্গা-বেণু-রবে আনন্দে চলয়ে
গোকুল-মুখেতে ধায়।।
যমুনা-পুলিন প্রবেশ হইয়া
নিজ গৃহে চলি যায়।
ধেনুগণ গৃহে খিয়ে গোপনে
যশোমতী মুখ চায়।।
কোলেতে লইয়া নন্দের নন্দন
বদন চুম্বল রসে।
কত শত শত আসিয়া পাইয়া
রসের আনন্দে ভাসে।।
“এতক্ষণ কোথা হিয়া দিয়া ব্যথা
গেছিলে কোন বা বনে।
এখানে এ ধড় গৃহ মাঝে ছিল
পরাণ তোমার সনে।।
আঁখির তারাটি গেছিল খসিয়া
এবে আঁখি আসি বসি।”
চণ্ডীদাস বলে– “ক্ষণেক নেহালে
ও মুখবদন-শশী।।”