যমুনা কিনারে

চন্দন গঞ্জনা চাঁদ গগনে

চন্দন গঞ্জনা চাঁদ গগনে
যদি তোর পাই লাগি।
লোহার মূষলে ভাঙ্গিয়ে তোমারে
করিমু শতেক ভাগি।।
শিখি সব তন্ত্র রাহু গ্রহ মন্ত্র
সাধন করিয়া আগে।
উগারে না দিয়া চাঁদ ঘুচাইয়া
তবেই গরব ভাঙ্গে।।
পূর্জি দেবরাজ সাধিব এ কাজ
ঢাকিয়া রাখিব মেঘে।
অমাবস্যা তিথি আঁধারিয়া রাতি
তেমতি সদাই লাগে।।
পরাশর তাথে মৎস্যগন্ধা সাথে
কূহায়ে সুরতি রঙ্গ।
চণ্ডীদাস ভণে রাধিকার সনে
ঐছন শ্যামের রঙ্গ।।

অন্তঃকথন:
অভিসার পর্যায়ের এই পদে চন্দ্রের উদয়ে অভিসার গমনে বিঘ্ন ঘটায় চন্দ্রের প্রতি শ্রীরাধিকার ক্রোধ প্রকাশ পেয়েছে। গগনে উদিত হয়েছেন চন্দ্র। তাই বিঘ্নিত হয়েছে প্রত্যাশিত অভিসার। রাধিকা তাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন চন্দ্রের এহেন আচরণে। চন্দন যার কারণে তিরস্কৃত হয়, হে সেই গগন চন্দ্রমা। তোকে যদি পেতাম একটি বার তবে লোহার মুষল দিয়ে ভেঙে টুকরো করে দিতাম। সকল তন্ত্র শিখে রাহুগ্রহ মন্ত্র সাধনা করব, যাতে সে উগরে না দেয় তোকে। তবেই সকল গর্ব বিনষ্ট হবে। মেঘাবৃত করে রাখব তোকে। দেবরাজের পূজা করে সাধন করব এই কাজ। অমাবস্যার তিথির মতো সর্বদা আঁধার রাত্রি থাকে যেন। পরাশর যেমন মৎসগন্ধার সঙ্গে সুরতি রঙ্গ করেন, চণ্ডীদাস বলেন, শ্যামেরও সেরূপ রঙ্গ রাধার সঙ্গে।

পদকর্তা:চণ্ডীদাস
রাগ:অজ্ঞাত
তাল:অজ্ঞাত
সংকলন:মুনমুন ঘোষ

সন্ধিনী