যমুনা কিনারে

তহ্নিক লাগি ফুলল অরবিন্দ

তহ্নিক লাগি ফুলল অরবিন্দ।
ভূখল ভমরা পিব মকরন্দ।।
বিরল নখত নভমণ্ডল ভাস।
লখএ কোকিল গাএ সহাস।।
এ রে মানিনি পলটি নিহার।
অরুন পিবএ লাগল আঁধিআর।।
মানিনি মান মহঘ ধন তোর।
চোরাবএ অএলাহু অনুচিত মোর।।
তৌঁ অপরাধে মার পঁচবান।
ধনি ধর হরিকএ রাখ পরান।।

অন্তঃকথন:
সমস্ত রাত ধরে রাধারানী দুর্জয় মান করে বসে আছেন! মাধব বহু অনুনয় বিনয় করেও সে মান ভাঙ্গাতে পারেন নি, এদিকে রাত্রি প্রায় শেষ হয়ে আসছে, মিলনের কাল বুঝি বৃথা চলে যায়! কানাই তাই শেষ চেষ্টা করছেন শ্রীমতীকে বোঝানোর। মাধব বলছেন, ক্ষুধিত ভ্রমর মধুপান করবে বলে, তারই জন্য তো কমল প্রস্ফুটিত হয়! (অথচ রাই কমলিনী এই কৃষ্ণ ভ্রমরের প্রতি তোমার দয়া হল না!) এদিকে চেয়ে দেখো আকাশে নক্ষত্র রাশি বিরল প্রায়, একে একে তারারা মিলিয়ে যাচ্ছে। আকাশ স্বচ্ছ হয়ে উঠছে দেখে কোকিল উৎফুল্ল হয়ে গান ধরেছে! মিলননিশা যে বয়ে যায়, ওরে মানিনি মুখ ফিরিয়ে দেখো অরুণ যে অন্ধকার পান করে উদিত হচ্ছেন! তবু তোমার মান গেল না! হায় আমি তোমার মহার্ঘ ধন মান চুরি করতে এসেছিলাম, কাজটা আমার উচিৎ হয় নি, তাই বুঝি সেই অপরাধে কন্দর্প আমায় পঞ্চশরে বিদ্ধ করছেন! মাধবের কাতর বিলাপ শুনে কবি বলছেন, ধনি তুমি হরিকে ধরো, তাঁর প্রাণ রক্ষা করো!

পদকর্তা:বিদ্যাপতি
রাগ:অজ্ঞাত
তাল:অজ্ঞাত
সংকলন:দেবহূতি সরকার

সন্ধিনী