“ভাঙ্গিল সকটখান দেখি এহ বিদ্যমান
এ নহে মানুস-তনু দেহ।
বধিল পুতনা আগে দেখি ব* ডর লাগে
সমুখে জাইতে নারে কেহ।।
পুন এ সকটাসুর প্রচণ্ড-শরীর সুর
দেখিয়া বড়ই লাগে ভয়।
বধিয়া চরণ’ঘাতে ইহা বধে আচম্বিতে
অদভূত তোমার তনয়।।”
দেখিয়া কহেন রানি– “ও মোর বাছনি ধনি,
মরিএ তোমার বালাই লয়্যা।”
জদুরে করিঞা কোলে ভাসে রানি অশ্রুজলে–
“কেনে গেলুঁ জমুনাতে দিয়া।।
ই কি পরমাদ হএ দেখিয়া লাগএ ভয়ে
ভাগ্যে জাদু না মাল্যা অসুরে।
দেখিলেন চক্রধর রহিল আমার ঘর
সুহাএ হইল দামুদরে।।”
বদন চুম্বন করি স্নান করাইলা হরি
মুখে দিএ খির লবনি।
“কত না পায়্যাছ শ্রম হইল কতেক ভ্রম
মরি জাই তোমার নিছনি।।”
কোলে বসাইয়া রানি আনি এক গোয়ালিনি
রক্ষা বান্ধে মন্ত্র করি সার।
‘তিন মুণ্ডে তিন নুড়ি সাএ দিসা মানস মুণ্ডি
এই মন্ত্র ঝাড়ে বার বার।।
‘মুঞি বান্ধে রক্ষাসার হংসগর্ভ চন্দ্রকার
দিবাকর দেব মহেশ্বর।
ই তিন দোতা লঙ্ঘে মায় জাদুআর অঙ্গে
পদ দেই গুরূপ উপর।।’
এই মন্ত্র বারস্বার ঝাড়ে গোয়ালিনি সার
আর মন্ত্রগুনে করি ভর।
‘মাথা রাখেন ব্রাহ্মনি চক্ষু রাখেন চামুণ্ডিনি
কান রাখেন সেই কালেশ্বর।।
নাড়ি রাখে রমানাথ দেহ রাখে জগন্নাথ
পা তুলি রাখেন বসুমতি ।
এই নিবেদন ভাএ সভে হয় সুহাএ
রাখ তুমি ছায়াল -দুগ্গতি ।।
দেহ বন্দো রমানাথ আর বন্দো জগনাথ
বন্দো দেব প্রভু জনাদ্দন ।
বন্দো হরগৌরি আদি সভার চরণ সাধি”
চণ্ডিদাস কহে বেবরণ।।