শ্রীগুরুচরণপদ্ম কেবল ভকতি সদ্ম
বন্দো মুঞি সাবধান মনে।
যাঁহার প্রসাদে ভাই এ ভব তরিঞা যাই
কৃষ্ণ প্রাপ্তি হএ যাহা হনে।।
গুরু মূখ পদ্ম বাক্য হৃদে করি মহা সক্ষ
আর না করিহ মনে আশা।
শ্রীগুরু চরণে রতি এই সে উত্তম গতি
প্রসাদে পূরিব সব আশা।।
চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে প্রভু সেই
দিব্যজ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।
প্রেম ভক্তি যাহা হৈতে অবিদ্যা বিনাশ যাতে
বেদে গায় যাহার চরিত।।
শ্রীগুরু করুণা সিন্ধু অধম জনার বন্ধু
লোকনাথ লোকের জীবন ।
হাহা প্রভু কর দয়া দেহ মোরে পদছায়া
এ যশ ঘূষুক ত্রিভুবন।।
বৈষ্ণব চরণ রেণু ভূষণ করিয়া তনু
যাহা হৈতে অনুভব হয়।
মার্জনাতে ভব জন সাধুসঙ্গে অনুক্ষণ
অজ্ঞান অবিদ্যা পরাজয়।।
জয় সনাতন রূপ প্রেম ভকতির কূপ
যুগল উজ্জ্বলময় তনু।
যাহার প্রসাদে লোক পাসরিল সব শোক
প্রকট কল্পতরু জনু।।
প্রেমভক্তি বলি যত নিজ গ্রন্থে কব কত
লিখিয়াছেন দুই মহাশয়।
যাহার শ্রবণ হৈতে পরানন্দ হয় চিতে
যুগল মধুর রসাশ্রয়।।
যুগলকিশোর প্রেম লক্ষ বাণ জেন হেম
হেন ধন প্রকাশিল যারা।
জয় রূপ সনাতন দেহ মোরে এই ধন
সে রতন মোর গলে হারা।।
শ্রীভাগবত শাস্ত্র মর্ম নববিধি ভক্তি ধর্ম
সদাই করিব সুসেবনে।
অন্য দেবাশ্রয় নাঞি তোমারে কহিল ভাই
এই তত্ত্ব পরম যতনে ।।
সাধু শাস্ত্র গুরুবাক্য করিয়া চিত্তেতে সক্ষ
সদত ভাবিব হৃদি মাঝে।
কর্মীজ্ঞানী ভক্তিহীন তাহাকে করিহ ভিন্ন
নরোত্তম এই তত্ত্ব গাজে।।