শ্রীশচীনন্দন প্রভু কর অবধান।
ভোজন মন্দিরে পহুঁ করহ পয়ান।।
বসিতে আসন দিল রত্ন সিংহাসন।
সুবাসিত জল দিয়া ধোয়ায় চরণ।।
বামে প্রিয় গদাধর দক্ষিণে নিতাই।
মধ্য আসনে বসেন চৈতন্য গোসাঞী।।
চৌষট্টি মোহান্ত আর দ্বাদশ গোপাল।
ছয় চক্রবর্তী বৈসে অষ্ট কবিরাজ।।
শাক সুকুতা অন্ন লাফড়া ব্যঞ্জন ।
আনন্দে ভোজন করে শ্রীশচীনন্দন ।।
দধি দুগ্ধ ঘৃতমধু নানা উপহার।
আনন্দে ভোজন করে শ্রীশচীরকুমার।
ভোজনের অবশেষ কহিতে না পারি।
ভৃঙ্গার ভরিয়া দিল সুবাসিত বারি।।
জলপান করি প্রভু কৈলা আচমন।
সুবর্ণ খরুকা দিয়া দন্ত ধাবন।।
আচমন করি প্রভু বৈসে সিংহাসনে ।
প্রিয় ভক্তগণে করে তাম্বুল সেবনে।।
তাম্বুল সেবার পর পালঙ্কে শয়ন।
সীতা ঠাকুরাণী করে চরণ সেবন।।
ফুলের চৌয়ারী ঘর ফুলের কেয়ারী ।
ফুলের পালঙ্কে ফুলের চাঁদোয়া মশারি।।
ফুলের বিছানা তাহে ফুলের বালিস।
তার মধ্যে মহাপ্রভু করেন আলিস।।
ফুলের পাঁপড়ি যত উড়ি পড়ে গায়।
তার মধ্যে মহাপ্রভু সুখে নিদ্রা যায়।।
অদ্বৈত গৃহিণী আর শান্তিপুর-নারী।
হুলু হুলু জয় দেয় প্রভ মুখ হেরি।।
ভোজনের অবশেষ ভকতের আশ।
চামর বীজন করে নরোত্তম দাস।।