আর একদিন সখি শুতিয়া আছিনু।
বঁধুরা ভরমে ননদী কোড়ে নিনু।।
বঁধু নাম শুনি সেই উঠিল রুষিয়া।
বলে ‘তোর বঁধু কোথা গেল পলাইয়া।।
সতী কুলবতী কুলে জ্বালি দিলি আগি।
আছিল আমার ভালে তোর বধভাগী’।।
শুনিয়া বচন তার অথির পরাণী।
কাঁপয়ে শরীর দেখি আঁখির তাজনি।।
এমত যে ডরি সখি পাপিনীর হাতে।
বনের হরিণী থাকে কিরাতের সাথে।।
দ্বিজ চণ্ডীদাস বলে পীরিতি এমতি।
যার যত জ্বালা তার ততই পীরিতি।।