আর জ্বালা সয় না পরাণে, সুন্দরি কদমতলায় কে বাজাইল মুররী।।
চল সব সখীগণ, সঙ্গে মোর পাঞ্চজন, চল যাই রাধার মন্দিরে।
কুমন্ত্রণা কেও তো দিয়ো না একভাবে দেখি গি বন্ধুরে।।
যখনে যমুনায় যাই, বাঁশীর রব শুনিয়ে আই, ডাকে বাঁশীয়ে মোরে নাম ধরি।
হু-হু বাঁশীর সুরে, প্রাণি মোর নিল হরিয়ে কোন্‌ বন্ধে বাজায় মুররী।।
হাতে মোহন বাঁশী বায়, নেপূর বাজেনু তায় ঝলকিয়া উঠে অঙ্গখানি।
মালকুতে হেরিয়া চাইয়ো নিরখিয়া সেই কালে আইসে ননদী ।।
কলসী লইয়া, জলেতে লামিয়া গা’খানি ধইতে লাগে বালা।
সেই না কলসীর জল, করে অতি টলমল উদয় হইলা চিকন কালা।।
ননদী আসিয়া, কুমন্ত্রণা দিয়া যুগতি করিল মনাইয়ের সঙ্গে।
যুগতি করিল, নিদ্রা ভুলান দিল জাগিয়া না পাইলাম কালারে।।
ফকির আচনে কয়, যেই জন রসিয়া অয় তাল্লাস করিলে পন্থ মিলে।
দমের সনে তিন মিলইয়া, উলটকলে পেঁচ লাগাইয়া,
কালাচান্দের খোঁজ কিবায় মিলে।।