“আর সুন, রাজা, পুরূব কথন
বিপ্র অজামিল-কথা ।
নানা দুষ্টমতি করিল বেভার
সে পায় গোবিন্দ ওথা।।
পাপি দুষ্টাচার কতেক পাসণ্ডি
নামেতে তরিয়া গেল।
রিপুভাব তাএ মাতৃ ভাব তারে
বৈকুণ্ঠ তরিয়া নিল।।
আর সুন, রাজা, রিপুভাব আর
করিছেন কংসাসুর।
নিকটে পাইব ফল দুষ্‌খ-ভাসা
অহঙ্কার হব চুর।।”
সুনি মহারাজা কহে পরিক্ষিত–
“সুনিল উত্তম গতি।
আগে কি করিল পুতনা বধিয়া
কহত তাহার রিতি।।”
কহিতে লাগল ব্যাসের নন্দন
হরস হইঞা চিতে।
বসি মঞ্চ’পরে সুনে মহারাজা
কহেন শ্রীভাগবতে।।
আগে জে * * কথা বিচারিয়া কহি
ব্যাসের নন্দন সুকে।
এক চিত্ত হঞা শ্রবণ পরসি
কহে সুকদেব মুখে।।
“আইল এক সে অসুর মুরুতি
সকট তাহার নাম।
গোকুল-নগরে নন্দের মন্দিরে
প্রবেসি হইল ঠাম।।
জত গোপ-নারি জমুনা-কিনারে
করে চন্দ্রায়ন-ব্রত।
নন্দরানি লঞা ব্রতের আরম্ভ
গোয়ালা -রমনি জত।।
ফল পুষ্পদল ঝুনা নারিকল
বিবিধ মিষ্টান্ন জত।
রম্ভাফল আদি করি নানাবিধি
দধি দুগ্ধ লঞা কত।।
প্রভাতে উঠিয়া সব জন গেল
জমুনা-তটের মাঝ।
জনে জনে সভে হরস হইঞা
লইল পূজার সাজ।।
নন্দরানি জাএ ছায়াল এড়িয়া
এ শূন্য মন্দির এড়ি।
নন্দের নন্দন খেলাএ জতন
জগত ইস্বর হরি।।
শূন্য ঘর পায়্যা বালক দেখিয়া
আল্যা সে অসুর-কায়া।”
চণ্ডিদাস দেখি বেথিত হিয়াএ
সকট আইল ধায়্যা।।