এ কথা শুনিআ বিরিঞ্চির দেবা
কহিতে লাগিল তাএ।–
“পুরুব কাহিনী অবতার ভেদ
সেই হল অভিপ্রায়ে।।
তিন বর্ণ ভেদ সেই সে আমার
দ্বাপরে লিখিল জেহ।
তার শেষ ভেল জানহ সকল
আসিআ মিলল এহ।।
সত্য ত্রেতা পরে দ্বাপর ভিতরে
কৃষ্ণ অবতার গণি।
চতুর্ভুজ জম্ম লখিব জননি
দ্বিভুজ হইব পুনি।।
সেই সে লিখিল পুরাণ-কথন
দশম-আখ্যান রাতে।
দ্বিভুক্ত, মুরুলি — বদনে সদলে
করিব ব্রজের ভিতে।।
বসুদেব-সুত দৈবকী-নন্দন
পুন সে নন্দের ঘরে।।
বেহার করিব ব্রজশিশুসনে
আনন্দকৌতুক-সরে ।
ব্রজলীলা যত করিব বেকত
এই অবতার গণি।
এই অবতার লিখি সরোদ্বার
ব্যাসের কলম-বাণী।।
ভব বিরিঞ্চির দুহাঁর কথায়ে
পুরুব পড়িল মনে।
কৃষ্ণ-অবতার জনম লভিব
সেই ব্রজভূম-স্থলে।।”
এই সারোদ্ধার করিলা বিচার
কহিতে লাগল তায়।
অপরূপ কথা শুনহ শ্রবণে
দিন চণ্ডিদাসে গায়।।