কদম্বের বন হইতে কিবা শব্দ আচম্বিতে
আসিয়া পশিল মোর কানে।
অমৃত নিছিয়া ফেলি কি মাধুর্য্য পদাবলী
কি জানি কেমন করে প্রাণে।।
সখি হে নিশ্চয় করিয়া কহি তোরে।
হা হা কুলাঙ্গনা মন গ্রহিবারে ধৈর্য্যধন
যাহে হেন দশা হৈল মোরে।।
শুনিয়া ললিতা কহে অন্য কোন শব্দ নহে
মোহন মুরলীধ্বনি এহ।
সে শব্দ শুনিয়া কেনে হৈলা তুমি বিমোহনে
রহ নিজ চিত্তে ধরি থেহ।।
রাই কহে কেবা হেন মুরলী বজায় যেন
বিষামৃতে একত্র করিয়া।
জল নহে হিমে জনু কাঁপাইছে সব তনু
প্রতি তনু শীতল করিয়া।।
অস্ত্র নহে মনে ফুটে কাটারিতে যেন কাটে
ছেদন না করে হিয়া মোর।
তাপ নহে উষ্ণ অতি পোড়ায় আমার মতি
বিচারিতে না পাইয়ে ওর।।
কোন সুনাগর সেই মোহমন্ত্র পড়ে যেই
হরিতে আমার ধৈর্য্য যত।
মুরলীর হেন রীতি কে যাইবে পরতিতি
দাস যদুনন্দনের মত।।