করি বৃন্দাবন ভান নিত্যানন্দ রায়।
পহুঁকে লইয়া আচার্য্যের গৃহে যায়।।
অদ্বৈত অচৈতন্য ছিল প্রভুর বিরহে।
চাঁদমুখ হেরি প্রাণ পাইল মৃতদেহে।।
কাঁদিয়া কাঁদিয়া পহুঁ কহে সীতাপতি।
কি জানি নিদয় হৈলা মোসবার প্রতি।।
কহ প্রভু কি দোষে ছাড়িয়া সবে গেলে।
তোমার সুখের হাট কেন বা ভাঙ্গিলে।।
প্রভু কহে মোরে নাড়া অনুযোগ দেহ।
তুমি ত নাটের গুরু নহে আর কেহ।।
হাতে তুড়ি দিয়া যেন পায়রা নাচায়।
তুই কিনা সেইরূপ নাচাস্ আমায়।।
সুখেতে গোলাকে ছিনু তুই ত আনিলি।
সব ছাড়াইয়া মোরে কাঙ্গাল করিলি।।
বৃন্দাবন দাস কহে কি দোষ নাড়ার।
নতু কৈছে হবে সব জীবের উদ্ধার।।