কহিতে লাগিলা গর্গমুনি তবে–
“সুনহ জসদা রাণি।
তোর ভাগ্যসম নাহি দেখি কন,
পাঞা(ছ) পরেস মুনি।।
পরেস মুনির মুল সমতুল
ইঁহার গতিক আছে।
অমূল্য এজন জার ত্রিভুবন
অক্ষের নিমিখে আছে।।
এমন অমূল্য রতন পায়্যাছ
ইহাকে অধিক কি।
পরম জতনে লালন পালন
করিহ গোয়ালা-ঝি।।”
এক দৃষ্ট পানে চাহে গর্গমুনি
চরণ হইতে অঙ্গ।
দেখিয়া লক্ষণ করে নিরক্ষণ
লাগিল পরম রঙ্গ।।
উর্দ্ধরেখা আর জব চক্র সার
মৎস রথ জাম্বুফল।
পতকা সমুহ আর সররোহ
গদা সোভে জার কর।।
সঙ্খ * * পরে নানা সে লক্ষণ
কুসের অগির দেখি।
কেবোল ইস্বর জানি বিস্বম্ভর
পাইল এ সব সাখি।।
হৃদয়ে হৃদয়ে কেবোল সদায়
স্মরণ করেন মুনি।
জানিল তখন দেব নারায়ণ
মনের মানসে জানি।।
কহেন–“ও নন্দ তোমার আনন্দ
হেনক ছায়াল তোর।
এ মহিমণ্ডলে এ চোদ্দ ব্রহ্মাণ্ডে
জার দিতে নাহি ওর।।
জার হেন পুত্র জানি লএ সূত্র
ইহারে লঙ্ঘিব কেহ।
* * বে অসুরে রাজা কংসাসুরে
ধরিঞা অসুর-দেহ ।।”
চণ্ডিদাস কহে– “এমত ছায়াল
জাহার গৃহেতে স্থি(তি)।
* * কি আপদ এই সে কথন
সুনহ জুবতি সতি।।”