কহেন গোলক– ইশ্বর হরসে–
“শুন, বসুমতি, তুমি।
দৈবকী-উদরে জাইআ সাদরে
জনম লভিব আমি।।”
[এ] কথা জখন শুনিল শ্রাবণে
আনন্দ হইলা চিতে।
কহেন জগত– ইশ্বর বচন–
“তুমারে কহিল রীতে।।
কংস ধ্বংস করি ভার দূর করি
তুমারে করিব সুখী।
জাহ নিজ স্থানে সন্দেহ না মানে
পাইবে ইহার সাখী।।”
ধরণী বিদায় করি দেব হরি
বসিলা শয়ন-সাজে।।
বসুমতী দেবী আনন্দ কৌতুকে
চলে নিকেতন মাঝে।।
পুন দুই দেবে কহেন ইশ্বর–
“এই সে হইল সারা।
কৃষ্ণ অবতার হইব সদার
করিব কেমন ধারা।।
ব্রজ শিশুগণ দ্বাদশ গোপাল
কাহারে কহিব আগে
পশ্চাৎ আমার গমন হইব
জাইব পশ্চাৎ ভাগে।।”
এ কথা শুনিঞা ভব বিরিঞ্চির
কহিতে লাগল তায়।
“ব্রহ্মাহর আদি দ্বাদশ দেবতা
ধরিব বালক কায়।।”
কহেন গোলোক- ইশ্বর তখন–
“শুনহ আমার বাণী।
জন্ম লেহ গিয়া সভে আগে হয়া
জনম লবহ পুনি।।”
প্রভুর কথায়ে আনন্দ হইয়া
চলএ দেবতা জত।
গোপকুলে গিয়া জনম লভিল
হইয়া-বালক মত।
তবে হলধর আপুনি অনন্ত
রোহিণী উদরে জন্মে।
আন গোপকুলে আন দেবগণ
জনম লভিল মর্ম্মে।।
দ্বাদশ বালক আগে জনমিল
বাড়এ গোপের কুলে।
গোলোক-ইশ্বর পাছু জনমিল
দিন চণ্ডীদাস বলে।।