কহে পাত্রগণ বিচার ক * *
“সুনহ সভার বানি।
তৃনাবর্ত্ত বিরে আন ডাক দিয়া
সুন রাজ নৃপমুনি।।”
তবেত কহিতে লাগল নৃ * *
“সুনহ বান্ধব জত ।
ডাক দিয়া আন তৃনাবর্ত্ত বিরে”
আসিঞা হইল যুত।।
রাজার সমুখে তৃনাবর্ত্ত *
নুঙাইল আসি মাথা।
“কি কারণে মোরে ডাক দিয়া আন
অসুর-কুলের ধাতা।।”
কহে নৃপবর — “সুনহ * *
তোমারে ডাকিল আমি।
গোকুল-নগরে গিয়া নন্দ-ঘরে
ছায়ালে বধহ তুমি।।
নন্দ-সুত তরে ঝড় বরিস *
উড়াইয়া নিবে ইথে ।
এই সে কারনে তোমারে পাঠাই
সুন তৃনাবর্ত্তে।।”
এ কথা সুনিঞা হরস বদনে
চলি * গকুল দেসে ।
মাএর কোলেত আছেন বসিঞা
সেই দেব ঋষিকেসে।।
হেনক সমএ তৃনাবর্ত্ত জায়
আ * উঠিলে ধুলি।
আপনার সক্তি জত ছিল তেজ
জায় করি নানা কেলি।।
গোকুলের লক্ষ গাছ ভাঙ্গি চুরি
ভা * ল যতেক ঘর।
ঝড়ের আঘাতে মরে পসু পাখি
কিছু না রাখিল আর।।
ধুলার বাজনে জেন স * * *
সমর কিসে বা গনি।
ঘোর অন্ধকার কাহু না হেরিএ
উড়াএ রেনুর কিনি।।
গাভি বৎসগণ আকাসে ভ্রম *
হাম্বা রব করে তারা।
গোকুল-নিবাসে লাগিল তরাসে–
“এ কোন হইল ধারা।।
এমন প্রলয় আপন গিয়ানে
কখন না দেখি ভাই ।
ই কন বিপাক পড়িল সংশয়
কখন দেখিএ নাই।।”
চণ্ডিদাস বলে — “বিসম গোকুলে
আইল অসুর এক।
দেখিবে নয়নে একজন কায়া(?)
আইল্যা এক পরতেক।।”