কালার মুখের মুরলী শুনিয়া
ত্যাজল গৃহের কাজে।
কুলবতী হৈয়া কুল তেয়াগিয়া
তিলাঞ্জলি দিলা লাজে।।
ঘৃত দধি দুগ্ধ ফেলায়ে বিমুগ্ধ
উনমত চিতে ধায়।
নিতম্বের ভারে চলিতে না পারে
গজেন্দ্র গমনে যায়।।
নীল বসন রতন ভূষণ
চন্দন লেপিত অঙ্গ।
শ্যাম মোহিনী চলে বিনোদিনী
সখীগণ করি সঙ্গ।।
নয়ানে কাজর অতি মনোহর
বয়ানে ঈষৎ হাসি।
হাসির ছটায়ে আঁধার পালায়ে
দশদিক পরকাশি।।
বৃন্দাবনে যত ময়ূর নাচত
কোকিল কুহরে রঙ্গে।
কহে কৃষ্ণদাসে মনের হরষে
রাই মিলে কানু সঙ্গে।।