কালি রূপ দেখি তখন যত সখিগণ।
আনন্দে করয়ে সভে পূজার আয়োজন।।
গঙ্গাজল বিল্বদল জবাদল আদি।
মহামায়া পূজিবার আছে যেই বিধি।।
রক্ত বস্ত্র আদি করি রক্ত চন্দন।
নানাবিধ সভে করে পূজার আয়োজন।।
শ্যাম শ্যামা হইল দেখি ভানুর কুমারী।
যোগেতে গেলেন ধনি যোগের ঈশ্বরী।।
হেরিয়ে কালিকা রূপ ভানুর দুহিতে।
বসিলেন যোগাসনে শ্রীপাদ পূজিতে।।
বিধিমত ভূতশুদ্ধি সুবিধান যত।
নয়ন মুদিয়া ধনি বসিল যোগেত।।
জবাদল গঙ্গাজল বিল্বদল লয়ে।
চরণে অর্পণ করেন আনন্দিত হয়ে।।
হেন কালে আয়ান আসি নিকট হইল।
কৈলাস তেজিয়া কালি নিকুঞ্জে দেখিল।।
অমনি হস্তের খড়্গ ফেলি ধরাসনে।
দণ্ডাকার পড়িলেন কালিকা চরণে।।
গললগ্নকৃতবাস চক্ষে বহে নীর।
বলে আমি কি জানিব অ….বিধির।।
আমি অতি মূঢ়মতি ভজন না জানি।
কমলিনীর গুণে যদি দেও চরণ দুখানি।।
মা তুমি চন্দ্র তুমি সূর্য্য তুমি দিবারাতি।
ফণীন্দ্র মণীন্দ্র আদি তোমাতে উৎপতি।।
আমি অতি মূঢ়মতি অতি সে অজ্ঞান।
দয়া করি চরণেতে দেহ মোর স্থান।।
গোবিন্দদাস এই অভিলাষ করে।
শ্যাম শ্যামরূপ জাগে হিয়ার মাঝারে।।