“কি বা করে ধন কিবা করে জনে
তোমারে অধিক কি।
এ ধন-সঞ্চয় মনের সহিতে
জানয়ে গোপের ঝি।।
প্রেমের স্বরূপ রসের চাতুরী
জানয়ে কিশোরী রাই।
রস পরিপাটি জানে গুণি গুণি
সো পঁহু তু গুণ গাই।।
রসের আগরি সে নব কিশোরী
কেহ সে জানয়ে নাই।
* * * * * *
* * * * ।।
কি জানিয়ে তব গুণের মহিমা
সহস্র মুখেতে গান।
এই মতে চারি যুগ ফিরি ফিরি
তসু সে নাহিক পান।।
এ ধন পাইয়া রাখিতে নারল
করম অভাগী বড়ি।
হিয়া সে দারুণ শেল পশি দিয়া
মধুপুর যাবে ছাড়ি।।
কে আর ডাকিব ‘ভাই ভাই’-বলি
মধুর বচন-রসে।”
পড়িয়া চরণে কাঁদয়ে সঘনে
কহেন এ চণ্ডীদাসে।।