কোন সখী করে বেশের বন্ধনে
পদ আভরণ করে ।
করের কঙ্কণ নূপুর বলিয়া
আপন চরণে পরে।।
কেহ পরে এক নয়ানে অঞ্জন
কুণ্ডল পরল এক।
ভালের সিন্দুর চিবুকে পড়ল
দেখ হয় পরতেক।।
গলে গজমতি হার মনোহর
পরিছে নিতম্ব মাঝে।
বাহু আভরণ যে ছিল ভূষণ
তাহাই করেতে সাজে।।
আপন বেশ পরিপাটি
করিয়া সকল জনে।
হরষ হইয়া রাধারে লইয়া
চলি যায় নিধুবনে।।
সুস্বর শুনিয়া মুরুলির রব
অনুসর চলি যায়।
আস্য আস্য বলি সঙ্কেত বলিয়া
শ্রবণে শুনিতে পায়।।
প্রেমভরে যত আহির রমণী
গলিছে নয়নধারা।
অঙ্গ প্রফুল্লিত গদগদ স্বরে
পাইয়া প্রেমরস-সারা।।
“যা করে তা করু গৃহে গুরুজনা
নাহিক তাহার ভয়।
পরিবাদ-মালা গলায় পরেছি”–
রসময়ী ইহা কয়।।
নিজ পতি তেজি চলি[ল] গোপিনী
নাহিক কিসের ভয়।
কৃষ্ণমুখী হয়া বৃন্দাবন-পুরে
চলি যায় অতিশয়।।
রাই-মাঝে করি যায় যত গোপী
গাইছে কানুর গুণে ।
বনে নানা জন্তু বৈসে ভয়ঙ্কর
কিছুই নাহিক মনে।।
ঐছন চলল বরজ-রমণী
বৃন্দাবন পানে দিয়া ।
চণ্ডীদাস কহে — ঊর্দ্ধমুখী সবে
যাইছে হরষ হয়া।।