গিয়া সেই গুণী প্রকার করিল
সুমন্ত্র কহিল কাণে ।
কৃষ্ণ-মন্ত্র জপ করিতে লাগিল
শুনায় রাধার স্থানে।।
“সেই কৃষ্ণ দেহ দেখিল যে, তেঁহ
হয়েন রসিকরাজ।
সে পহু নাগর সুগড় মূরতি
বসতি গোকুল-মাঝ।।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ দহে।
এই কুড়ি বর্ণ ভেদ জানাইল
পরম স্বরূপ সেহ।।
সেই কৃষ্ণ হয় পরম রতন
সেই কৃষ্ণ প্রাণপতি।
সেই কৃষ্ণ হয় ব্রজের জীবন
গোকুলে গোপীর পতি।।
সেই কৃষ্ণ হয় অখিল শকতি
এই কৃষ্ণ রূপে দেহা।
এই কৃষ্ণ হয় গোকুল-জীবন
যেই জন রাখে লেহা।।”
যবে প্রবেশিল ‘কৃষ্ণ’ নাম কাণে
তখনি হইল ভাল।
আঁখি দুই মেলি করেতে কচালি
দুঃখ অতিদূরে গেল।।
চণ্ডীদাস বলে চেতন হইল
সেই বৃকভানু- বালা।
অঙ্গ মোড় দিয়া উঠিল চাহিয়া
দূরে গেল যত জ্বালা।।