চলিলা পুতুনা তবে গোকুল-নগরে।
প্রবেশ করিল গিআ নন্দের মন্দির।।
হরসে আপন স্তনে বিষ মাখে রাণ্ডি।
রিপুর স্বভাবে জাএ নন্দ-সুতে ভাণ্ডি।।
গিয়া সে নন্দের ঘরে পুতুনা রাক্ষসি।
মাআ ডোর দিআ সে গলায় দিল ফাঁসি ।।
“শুন গো যশোদা রাণি, আইল এথাই ।
শুনিল লোকের মুখে সুখী ভেল তাই।।
নন্দের বৃদ্ধ বএসে হইল তার পুত্র।
ভাগ্যবতী বড় তুমি গোপকুল-গোত্র।।
দিআছেন বিধি তোরে হেনক ছায়াল।
শুনিঞা আমার চিত্ত আনন্দ বিশাল।।”
নন্দরাণী বলে, –“সেহ তোমার আশীর্ব্বাদে
এ ধন পাইনু আমি দশের প্রসাদে।।”
“তোমাকে দিআছে নিধি বিধি বড় রাঙ্গী।”
উকি পাড়ি দেখে পুত্র করি রঙ্গ ভঙ্গী।।
জশদার কোলে শিশু জানিল তখনি।
বিষ স্তন মাখিয়া সে আইলা এখনি।।
হৃদয়ে জানিল ইহ নন্দের কুমার।
জননীর কোলে শিশু কান্দএ অপার।।
কহেন পুতুনা তবে–“শুন, নন্দরাণি।
বালক বোধহ আগে মুখে স্তন টানি।।”
দুগ্ধ পিয়ায়ে আগে বালকের মুখে।
চণ্ডিদাস বলে রান্ডি হরস হঞা বুকে।।