চান্দ গুরু চান্দ মুখেতে শুনছি গুরুর সুবচন।
ভাব সাধিলে হয় রে সাধক রূপের সাধন।
ভাবের ভাবি হৈল যেই প্রেম ডুবি দিয়া সেই ভাবের মালা করয়ে গাঁথন।
ভাবক ফুলেরহার গলে শোভিয়াছে তার ভাবসঙ্গে তারমন আসি হয় সম্মিলন।
ফুলভাবক গলে যার প্রেমানল দহে তার জ্বলে যেন অরণ্যে আনল।
অন্তরে আনল জ্বলে রূপের সঙ্গেতে মিলে প্রেমভাবে অন্তরেতে খুলিবে কমল।
প্রেমানলে দাহে যার সদানন্দ হয় তার দরশনে প্রফুল্লিত মন।
প্রেমানলে অঙ্গ জ্বলে নিকুঞ্জে বন্ধুয়া মিলে প্রেমভাবে তিরপুন্নীতে হয় দরশন।
ভাব সঙ্গেতে যার খেলা দেখেছে প্রভুর লীলা স্বরূপেতে চান্দের বাজার।
মথুরায় খেলা হয় শ্রীপুরে চান্দের উদয় সোনাপুরে দীপ্তময় রঙ্গের বেহার।
প্রেমভাবি হৈল যেই রূপ সাধন করে সেই স্বরূপের করে অন্বেষণ।
কামরতি তেয়াগিয়া ভাবের মালা গাঁথিয়া রূপ সঙ্গেতে সম্মিলনে থাকে অনুক্ষণ।
রূপ সঙ্গেতে মিষে যারা প্রেমের প্রেমিক তারা ভঙ্গনে ধিহান না হয়ে কখন।
রূপেরসে কাঙ্গালিনী রূপবিনে হয়আকুলিনী মণিহারাহৈলে ফণী তেয়াগে জীবন।
মই পাপী মহাদোষী কলঙ্কিনী কর্মনাশী না হৈল রূপের সাধন।
রূপের মন্দির যথা প্রেয়সী ত নাই তথা পন্থ আগুলিয়া আছে ভুজঙ্গ দুর্জন।
নিকুঞ্জেতে রূপ দয়াল ভুজঙ্গিনীরা খাওয়াল রাজ দুয়ারে করয়ে গর্জন।
পন্থ ছাড়ি না দেয় মোরে যাইতে না পারি ঘরে রাজ দুয়ারে প্রবেশিতে কৈল বিড়ম্বন।
শিতালং ফকির কহে প্রেমানলে অঙ্গ দহে রূপ সঙ্গেতে না হৈল মিলন।
রাজ দুয়ারে ঝুরিয়া মরি আন্দরে যাইতে নারি রূপ বিনেতে আকুলিনী হৈল মোর মন।