চূড়া বাঁশী গুঞ্জাহার ভাসে কুণ্ডজলে।
রাধাকুণ্ড জলে ঝাঁপ দিল কৃষ্ণ বলে।।
রাধাকুণ্ড ভীত হয়ে কৈল অন্তর্দ্ধান।
রাই বলে শ্যাম কুণ্ডে তেজিব পরাণ।।
শ্রীরাধা কুণ্ড হৈতে চূড়া বাঁশী তুলি।
শ্যামকুণ্ড তীরে যায় কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি।।
শ্যামকুণ্ডে পরাণ তেজিতে সবে যায়।
হা হা প্রাণনাথ বলি কান্দে উভরায়।।
ঐছন শবদ শুনিয়া শ্যামরায়।
অতি উচ্চনাদ করি রাধাগুণ গায়।।
বসন্ত কোকিল জিনি কৃষ্ণ কণ্ঠধ্বনি।
শুনিয়া ধৈরজ ধরে রাধা বিনোদিনী।।
দুহুঁ ভেল সচকিত শ্যামকুণ্ড তীরে।
আকুল সে কুলবতী মিলে যদুবীরে।।
দুঁহুজনে মৃতদেহে পাইল পারণ।
অনিমিখে দোঁহে দোহার নেহারে বয়ান।।
রসময়ী নাগরী রসময় কান।
কমলে ভ্রমর কিবা করে মধুপান।।
চূড়াবাঁশী গুঞ্জাহার বঁধুয়ারে দিল।
গদাধর দাস চিতে আনন্দ বাড়িল।।