জান্যা শুন্যা কৃষ্ণপদ না করে ভাবনা।
পুনঃ পুন পায় সেই গর্ভের যন্ত্রণা।।
একবার জনময়ে আর বার মরে।
তথাপিও হরিপদ ভজন না করে।।
থাকিয়া মায়ের গর্ভে পায় নানা বেথা।
তখন পড়য়ে মনে শত জন্মের কথা।।
ঊর্ধ্বপদে হেট-মাথে রহয়ে বন্ধনে।
বিপদ সময়ে তখন কৃষ্ণ পড়ে মনে।।
জন্মমাত্র পড়ে মহামায়ার বন্ধনে।
ভজিতে কৃষ্ণের পদ না পড়য়ে মনে।।
শতেক বৎসর আয়ু সবে মাত্র ধরে।
নিদ্রায় তাহার যায় পঞ্চাশ বৎসরে।।
পঞ্চাশ বৎসর বাল্য পৌগণ্ড কৈশোরে।
নানামত চাপল্যে সে পরমায়ু হরে।।
কোন মতে কৃষ্ণপদ নহিল ভজন।
চৌরাশি লক্ষ যোনিতে পুন করয়ে ভ্রমণ।।
ভ্রমিতে ভ্রমিতে যদি দেখে কৃষ্ণদাস।
সেই ক্ষণে হয় তার কর্মবন্ধনাশ।।
কৃষ্ণের ভজনতত্ত্ব করে উপদেশ।
ভজয়ে শ্রীকৃষ্ণপদ দূরে যায় ক্লেশ।।
অতএব ভজি আমি বৈষ্ণব-চরণ।
বলরাম দাস এই করে নিবেদন।।