তোরা কে কে যাবে গো সজনী বৃন্দাবনে, আমি যাব কালিয়ার বংশী তানে।
একি হেরি চমৎকার, আলোকে আঁধারে তার,
বহুরূপে একাকার, নিশি দিবা বাজ বীণে।
ধর্‌তে গেলে না দেয় ধরা, অধরায় ধরিয়ে ধরা,
হয়ে যা তুই জীতে মরা, ঐ মোহন বাঁশী সন্ধানে।
এ ব্রহ্মাণ্ডে আর কি আছে, যা আছে নরত্ব কাছে,
মুক্তি-পদ তোর সদা যাচে, কেন হে রয়েছ অজ্ঞানে।
কাল শমন আসিবে যখন, ভেরী রবে হবে মগন,
ছাইড়ে দিয়ে যাবে তখন, বেহার তব বীণা সনে।
জহুর সে মুক্তির প্রত্যাশী, বীণার সনে গলে ফাঁসি,
ভাবে কাটায় দিবানিশি, স্থান চায় রাঙা চরণে।