দানী দেখি কাঁপিছে শরীর।
মো যদি জানিতাম পাছে এ পথে সঙ্কট আছে
তবে ঘরের না হইতাম বাহির।।
ঘরে হৈতে বারাইতে ও চাল ঠেকিল মাথে
হাঁচি জিঠী পড়ি গেল বাধা।
হরিণী পালাঞা যাইতে ঠেকিল ব্যাধের হাতে
এমতি ঠেকিয়া গেল রাধা।।
বিষম দানীর দায় এক দিলে আর চায়
না পাইলে করয়ে বিবাদ।
দান নিবার বেলে নেয় বাদ দিবার বেলে দেয়
একেক লক্ষের পরিবাদ।।
মণি আভরণ ছিল ডরে ডরে সব দিল
তমু দানী না দেয় ছাড়িয়া।
মো হইলাম সোনার গাছ দানী ত না ছাড়ে পাছ
ডালে মূলে নিবে উপাড়িয়া।।
ঘরে বৈরী ননদিনী পথে বৈরী মহাদানী
দেহের বৈরী হইল যৌবন।
হেন মনে উঠে তাপ যমুনায় দিয়ে ঝাঁপ
না রাখিব এ ছার জীবন।।
অবলা বলিয়া গায় বলে হাত দিতে চায়
পসরিয়া আইসে দুটী বাহু।
জ্ঞানদাসেতে কয় মোর মনে হেন লয়
চান্দে যেন গরাসয়ে রাহু।।