দেখিয়া রাধার দশা উপজিল
উঠিল বিরহজ্বালা।
দশমী দশার এ সব লক্ষণ
দেখিয়ে বিষম বালা।।
কোন নবরামা কহে রাধা পাশে
রথ আরোহণে শ্যাম।
গোকুল প্রবেশি আওল তুরিতে
শুনি কিছু হয়ে জ্ঞান।।
চমকি চমকি মিলিত নয়ন
চাহেন সদয় গৌরী।
করে কর ধরি কোন নবরামা
মুখেতে ঢারয়ে বারি।।
ক্ষেণেক চেতন পাইল কিশোরী
চকিত নয়নে চায়।
সোনার পুথলি যেন গড়ি যায়
ঐছন দেখিয়ে প্রায়।।
ঐছন অবনী উপরে ফুটল
কনক-কমল প্রায়।
কানুর বিরহে সে গুণ সুন্দরী
ধূলাতে ধূসর কায়।।
শীতল চামর ঢারি কোন রামা
মলয় চন্দন দিয়া।
শীতল পাখার বাতাস করয়ে
কোনা নবরামা গিয়া।।
তাহে বাড়ে জ্বালা বিরহবেদন
হুতাশ উঠয়ে দুনু।
অঙ্গের চন্দন যে ছিল লেপন
তাহা শুখাইল তনু।।
বিরহ আগুন হিয়ার ভিতরে
কি করে মলয়রাজে।
চণ্ডীদাস বলে কে এত জানব
যে জন এ রসে মজে।।