পীরিতি কি রীতি জানে রসবতী
আর না জানয়ে কেহ ।
একথা শুনিয়া হাসিয়া হাসিয়া
কহেন এ নহু নহু।।
পীরিতি শত গুণ শত শত করি
তার লাখ গুণ যেই ।
তার এক কণা গোপীগণ পায়ে
আর না জানয়ে কোই।।
তার লাখ গুণ শত শত হয়ে
তবে সে যে জন রয়।
মণি-ফণিগণ যত ভক্তগণ
কণিকা পীরিতি হয়।।
পূর্ণ ষোলকলা জানয়ে মরম
সেই সে কিশোরী রাই।
এক শত গুণ তাহার মরম
আমি সে জানিয়ে নাই।।
তার এক কণা শত শত ভাগ
এ নন্দ যশোদা জানে।
কোটিকে গোটিক তার এক বিন্দু
আছয়ে কাহার স্থানে।।
চণ্ডীদাস বলে– একথা শুনিতে
দেবের হইল সুখী।
বেদের বচন করিল রচন
ব্যাসমুনি ইহা লেখি।।