পুত্র-মুখ হেরি দৈবকী সুন্দরী
কান্দিয়া আকুল বড় ।
“এমত ছাআলে কিরূপে রাখিব
আমারে হইল পাড়।।”
ভাবএ অন্তরে দৈবকী সুন্দরী
দেখিয়া পুত্রের মুখ।
হরস অন্তর বিকল হইছে
আনচান করে বুক।।–
“কি বুদ্ধি করিব কেমত উপায়ে
বাঁচএ এহেন শিশু।”
মনে আনচান না পারে বলিতে
উপাএ না লাগে কিছু।।
মনেতে চিন্তিল দেবকী সুন্দরী
“শুন বসুদেব পতি।
দেখিএ ছাআল এমত মুরতি
জগতে না দেখি কতি।।”
কান্দে দুইজনে– “রাখিব কেমনে
দুর্জ্জন কংসের হাথে।”
এই বোল বলি দুহেঁ করাঘাত
হানিছে আপন মাথে।।
শুনিলে জে বাণী আসিআ এখনি
শিলাতে আছাড়ি মারে।
এমত ছাআলে রাখিবার তরে
অনেক ভাবনা করে।।
এই কালসোনা পাইছে বেদনা
দুহার জাতনা দেখি।
প্রভু বিশ্বম্ভর দিআ মায়া-ডোর
মনেতে দিছেন সাখী।।
আসি কহে কানে পবন গমনে
শ্রবণে কহেন কথা।–
“নন্দঘোষ-ঘরে রাখহ ছাআলে
ঘুচক হিআর বেথা।।”
এ কথা শ্রবণে শুনি বসুদেব
ভাবিল জেমত ঘোর।
নিরমল বুদ্ধি পায় এই শুদ্ধি
চণ্ডিদাস কহে ঔর।।