প্রভাতে উঠিয়া শ্রীদাম সুবল
আদি সখাগণ মেলি।
নন্দের মন্দিরে চলে ধীরে ধীরে
যশোদা বিলাপ বেলি।।
যাইয়া তাহারে কতেক প্রকারে
প্রবোধ বচন কৈয়া।
আসিবার কালে হেরি ধেনুশালে
পড়ে মুরছিত হৈয়া।।
অনেক যতনে চেতন পাইয়া
ধেনুগণ সভে লৈয়া।
যমুনা কাননে চলে গোচারণে
বিরহে বিভোর হৈয়া।।
তুয়া প্রিয় সেই কদম্বের মূলে
বসিয়া রাখাল মেলি।
দুহুঁ দুহাঁ গলে ধরিয়া কান্দয়ে
সোঙরি পুরুব কেলি।।
চূড়া নাহি বান্ধে নটবর ছান্দে
বসন নাহিক পরে।
ভোজন তেজল দেহ দুরবল
সতত প্রলাপ করে।।
ধেনুগণ আর না খায় আহার
না পিয়ে যমুনানীর।
স্তনে ক্ষীর ঝরে আঁখি জলে ভরে
হিয়া না বান্ধয়ে থীর।।
দেখি সখাগণ কান্দিয়া সঘন
লইয়া চলয়ে ঘরে।
এ পুরুষোত্তম কহয়ে এমতি
সকল গোকুলপুরে।।