পড়িল ঘোষণা নগর চাতরে
যত যত গোপগণে।
শকটে শকটে পূরিল সকলে
দধি দুগ্ধ ঘৃত সনে।।
বাজায় বাজনা নন্দের দুয়ারে
পড়িয়াছে ধায়াধাই।
এ কথা শুনল ব্রজরামাগণ
‘কিসের বাজনা ওই।।’
এক নব রামা রাধা পাঠাওল–
“বুঝহ কি হেতু কাজ।
তুরিত গমন করহ এখন
যাইয়া নন্দের মাঝ।।”
সেই গোপ-নারী তুরিত গমন
করল নন্দের ঘরে।
যাইয়া দেখল বুঝল সকল
বজর পড়িল শিরে।।
প্রভাত হইলে কৃষ্ণ বলরাম
যাইব মথুরাপুরে।
এ কথা শুনিয়া সেই নবরামা
তুরিতে গমন করে।।
রাধারে কহিতে বলে সেই সখী–
“শুনহ আমার বাণী।
কহিলে কি হয় হেন মনে লয়,
শুনহ রমণী ধনি।।”
“কহ কহ, শুনি, কি হৈল’, –‘গেছিল–‘
কহিতে লাগল বাণী।
* * * * * *
* * * *
“অক্রূর বলিয়া একজন আইল
কৃষ্ণ বলরাম নিতে।
রথ আরোহণ করিয়া আইল
এবে সে দেখিল ভিতে।।”
চণ্ডীদাস বলে– “নিশ্চয় যাইব
কৃষ্ণ বলরাম দুই।
মুরছিত হয়ে পড়িল গোপিনী
এতদিনে গেল এই।।”