বন্দো প্রভু নিত্যানন্দ কেবল আনন্দকন্দ
ঝলমল আভরণ সাজে।
দুই দিগে শ্রুতিমূলে মকরকুণ্ডল দোলে
গলে এক কৌস্তুভ বিরাজে।।
সুবলিত ভুজদণ্ড জিনি করিবরশুণ্ড
তাহাতে শোভেয়ে হেমদণ্ড।
অরুণ অম্বর গায় সিংহের গমনে ধায়
দেখি কাঁপে অসুর পাষণ্ড।।
অঙ্গ দেখি শুদ্ধ স্বর্ণ দুটি আঁখি রক্তবর্ণ
তাহাতে ঝরয়ে মকরন্দ।
সুমেরু বাহিয়া যেন গঙ্গা ধারা বহে হেন
দেখি সুরলোকের আনন্দ।।
সর্ব্বাঙ্গে পুলক ছটা যেন কদম্বের ঘটা
লম্ফে কম্প হয় বসুমতী।
বীরদাপ মালশাটে শবদে ব্রহ্মাণ্ড ফাটে
দেখি ব্রহ্মলোক করে স্তুতি।।
চৈতন্যের প্রেমরত্ন জীবেরে করিয়া যত্ন
দিল পহু পরম আনন্দে।
কহে বৃন্দাবন দাসে আপনার কর্ম্মদোষে
না ভজিলুঁ নিতাই পদদ্বন্দ্বে।।