বেশ সে সুবেশ অতি মনোহর
মোহিতে অবলাগণে।
নানা আভরণ করল শোভন
জননী নাহিক জানে।।
নিভৃতে উঠিয়া নাগর শেখর
ত্যজিয়া আনহি কাজ।
চলিলা সত্বরে বাঁশী লয়ে করে
নানা বেশ ফুলসাজ।।
চলিতে গমন মদমত্ত হাতী
অঙ্কুশ নাহিক মানে।
মদন বেদন উপজে তখন
আপন পর কি জানে।।
মনসিজ শরে বিন্ধিল ধানুকী
আর কি চেতন রহে।
নিবারণ নহে মরম বেদন
মনহি মাঝারে রহে।।
বরজ-রমণী রমণ কারণ
চলিলা গভীর বনে।
এই রসতত্ত্ব সঙ্কেত বেকত
কেহ ত নাহিক জানে।।
প্রবেশ করিল বৃন্দাবনমাঝে
দেখিয়া নিভৃত স্থান।
রতন বেদিকা অতি সুশোভিত
বৈঠল নাগর কান।।
চণ্ডীদাস কহে অপরূপ রাস
বিহার করিল কানু।
রস-সুখ অতি করিতে পীরিতি
সুধুই রসের তনু।।