ভজন সাধন করবি, রে মন, কোন রাগে। আগে মেয়ের অনুগত হও গে।।
জগৎ-জোড়া মেয়ের বেড়া রে, কেবল একপতি সাঁইজী জাগে।।
মেয়ে সামান্য ধন নয়, জগৎ করছে আলোময়,
কোটী চন্দ্র জিনি’ কিরণ বুঝি আছে মেয়ের পায়।
মেয়ে ছাড়া ভজন করা রে তা হবে না কোনো যুগে।।
যদি রূপার টাকা পায়, জীবে কপালে ছোঁওয়ায়,
কত রজত-কাঞ্চন সেনা-রূপা পতি দিচ্ছে মেয়ের পায়।
মেয়ে এমনে ধন নাহি চিনে রে জীব পড়বে পাপের ভোগে।।
মেয়ে মেরো নারে ভাই, মারলে গুরু মারা হয়,
মেয়ের আহ্লাদিনী নাম রেখেছেন চৈতন্য গোঁসাই।
ও যার দরশনে দুঃখ হরে রে ও তার তরণে শরণ নিগে।।
বলে হীরুচাঁদ আমার, মেয়ে মনোহর,
যার আকর্ষণে জগৎপতি করল রাধার দাস-স্বীকার।
তুই ধরবি যদি গুরুর চরণ রে, পাঞ্জ মেয়ের চরণ ধর আগে।।