যত প্রবোধিয়ে মনে প্রবোধ নাহিক মানে
প্রাণ কান্দে অহোনিশি তায়।
দিবা নিশি খেনে খেনে সদাই পড়িছে মনে
সেই মোর গোপীনাথ রায়।।
শ্যাম নাগর বিনে আর জীমু না।
কার লাগি থোব আর এরূপ যৌবন ভার
প্রবেশিব যাইয়া যমুনা।।
অকৈতব প্রেম করি মোরে গেল পরিহরি
ধৈরজ ধরিতে নারে দেহা।
অসম্ভব রস যত তাহা বা কহিব কত
পাসরিতে নারি সেই লেহা।।
বড়ই সদয় পিয়া অনেক করিত দয়া
কিবা দোষে হইলা নিঠুর।
বিকাল বিহান নিশি দরশন দিত আসি
সে ছাড়িয়া গেল মধুঃপুর।।
যদি তিলে দেখা নহে দেখিলে রতন পায়ে
হিয়ার উপরে মোরে রাখি।
মোর মুখ নিরখিতে কত ভাব উঠে চিতে
ছলছল করে দুটি আঁখি।।
সুস্মিত বদনে চাহিয়া হাসি মধুর কথা কইয়া
অমৃতে সিঞ্চয়ে মোর অঙ্গ।
স্বপনে না জানি ইহা মোরে ছাড়ি যাবে পিয়া
হেন রসে করিয়া সে ভঙ্গ।।
অধরে অধর দিয়া কত সুখে মগ্ন হইয়া
হিয়ার উপরে শুইয়া রহে।
রাখিয়া এতেক সুখে মোরে দিয়া গেল দুখে
নারীর পরাণে কত সহে।।
যত যত কুঞ্জে যাইয়া আমারে লইয়া পিয়া
যে করিত সব কতি গেল।
এ গোপীচরণ দাসে সর্ব্বস্ব করিয়া নাশে
হিয়া মাঝে দিয়া গেল শেল।।