রাইক নিঠুর বচন শুনি সহচরি
মীলল কানুক পাশ।
পন্থক শ্রম-ভরে বচন কহে গদ গদ
খরতর বহই নিশাস।।
মাধব দুর্জ্জয় মানিনি মানি।
বিপরিত চরিত হেরি ভেল চমকিত
না ফুরয়ে এহ আধ বাণী।।ধ্রু।।
কা বোল বোলইতে শুনই না পারই
শ্রবণ মুদয়ে দুই পাণি।
জৈমিন জৈমিনি পুন পুন ফুকরই
বজরশবদ সম মানি।।
তুয়া গুণ নাম শ্রবণে নাহি শূনয়ে
তুয়া রূপ রিপু-সম জানি।
তুয়া নিজ জন সঞে সম্ভাষ না করয়ে
কৈছে মিলায়ব আনি।।
নীল বসন বর নীল চূড়ি কর
পোঁতিক মাল উতারি।
করিরদ-চুড়ি কর মোতিমাল বর
পহিরণ অরুণিম শাড়ী।।
অসিত চিত্র কর উর পর আছিল
মিটায়ল চন্দন লাগাই।
মৃগমদতীলক যোই দৃগঞ্চল
কুচমুখ চন্দনে ছাপাই।।
চাবু চিবুক পর এক তিল আছিল
নিন্দি মধুপসুত শ্যামা।
তৃণ অগ্রে করি মলয়জে রঞ্জল
সবহুঁ ছাপায়লি রামা।।
জলধর হেরি চন্দ্রাতপে ঝাঁপল
শ্যামরি সখি নাহি পাশ।
তমাল তরুগণে চূণে লেপায়ল
শিখি পিক দূরে নিবাস।।
তুয়া গুণ বোলত এক শুক পণ্ডিত
শুনি তহিঁ উঠি রোষাই।
পঞ্জর ঝটকি ফটকি কর পটকিতে
ধাই ধরল হাম যাই।।
মধুকর ডরে ধনি চম্পক-তরুতলে
লোচনে জল ভরিপূর।
শ্যাম চিকুর হেরি মুকুর কর পটকল
টুটি ভৈগল শতচূর।।
মেরুসম মান কোপ সুমেরু-সম
দেখি ভেল রেণু সমান।
চম্পতি পতি অব রাই মানাইতে
আপ সিধারহ কান।।