রাই কানু খেলিবারে হইল দুই দল।
পিচকারি মারে শ্যামে গোপিনী সকল।।
মারয়ে আবীর গোরী কস্তূরী চন্দন।
ফুলেল মারিছে অঙ্গে জিতিয়ে কাঞ্চন।।
আতর গোলাপ মারয়ে শুভ চিত।
মারিছে শ্যামের অঙ্গে দেখি বিপরীত।।
যে দিগে পলায়ে নাগর সেই দিগে ধায়।
নয়ান ঝাঁপিয়া নাগর পলাইতে না পায়।।
ললিতা কাড়িয়া নিল শ্যামের পীতধড়া।
বিশাখা কাড়িয়া নিল মোহনীয়া চূড়া।।
ইন্দুরেখা সখী তখন শ্যামেরে ধরিল।
ভুজ যুগে বাঁধি রাধার আগে আনি দিল।।
হাসিতে লাগিল রাই নাগর দেখিয়া।
মিছাই ভরম কর বল না বুঝিয়া।।
নাগর কহয়ে শুন এই বলি আমি।
সূক্ষ্ম করি বিচার করো শুন বিনোদিনী।।
নাগরের কাতর বাণী শুনি সুধামুখী।
মলিন বদন রাই ছল ছল আঁখি।।
দীন বলরাম দাসের আনন্দ হইল।
রাই সঙ্গে শ্যাম চাঁদ নিকুঞ্জে বসিল।।