রূপের বৈরাগ্য কালে সনাতন বন্দীশালে
বিষাদ ভাবয়ে মনে মনে।
রূপেরে করুণা করি ত্রাণ কৈল গৌরহরি
মো অধমে না কৈলা স্মরণে।।
মোর কর্ম্ম দোষফাঁদে হাতে পায়ে গলে বান্ধে
রাখিয়াছে কারাগারে ফেলি।
আপনে করুণা পাশে দৃঢ় করি ধরি কেশে
চরণ নিকটে লেহ তুলি।।
পশ্চাতে অগাধ জল দুই পাশে দাবানল
সম্মুখে সাঁধিল ব্যাধ বাণ।
কাতরে হরিণী ডাকে পড়িয়া বিষম পাকে
এই বার কর পরিত্রাণ।।
জগাই মাধাই হেলে বাসুদেব চাপালেরে
অনায়াসে করিলা উদ্ধার।
এ দুখসমুদ্র ঘোরে নিস্তার করহ মোরে
তোমা বিনে কেহ নাহি আর।।
হেন কালে এক জনে অলখিতে সনাতনে
পত্রী দিল রূপের লিখন।
এ রাধাবল্লভ দাসে মনে হইল আশ্বাসে
পত্রী পড়ি করিলা গোপন।।