শিশুকাল হৈতে শ্রবণে শুনিনু
সহজ পীরিতি কথা।
সেই হৈতে মোর তনু জর জর
ভাবিতে অন্তরে ব্যথা।।
দৈবের ঘটিতে বঁধুর সহিতে
মিলন হইবে যবে।
মান অভিমান বেদের বিধান
ধৈরজ ভাঙ্গিবে তবে।।
জাতি কুল বলি দিতাম তিলাঞ্জলি
ছাড়িনু পতির আশ।
ধরম করম সরম ভরম
সকলি করিনু নাশ।।
কুলে কলঙ্কিনী বলি দেয় গালি
গুরু পরিজন মেলি।
কাতর হইয়ে আদর করিয়ে
লইনু কলঙ্কের ডালি।।
চোরের মা যেন পোয়ের লাগিয়া
ফুকরি কাঁদিতে নারে।
কুলবতী হয়ে পীরিতি করিলে
এমতি ঘটিবে তারে।।
মুই অভাগিনী কেবল দুখিনী
সকলি পরের আশে।
আপনা খাইয়া পীরিতি করিনু
লোক শুনি কেন হাসে।।
চণ্ডীদাস বলে পীরিতি লক্ষণ
শুন গো বরজ-নারি।
পীরিতি ঝুলিটি কাঁধেতে করিয়া
পীরিতি নগরে ফিরি।।