শুনিয়া কহয়ে গোরী বলরামের বেশ ধরি
যাই তবে তা সবার মাঝে।
ধরিয়া শ্যামের হাতে লইয়া আসিব সাথে
সাধব নিজের মন কাজে।।
এতেক ভাবিয়া মনে আজ্ঞা দিল সখীগণে
বলরামবেশ হব আমি।
চন্দন মাখাও অঙ্গে চূড়া বান্ধ নানারঙ্গে
শিঙা বেণু আনি দেহ তুমি।।
রাধিকার কথা শুনে সখীগণ ভাবে মনে
এ সময় শিঙ্গা কোথা পাব।
মনে জানি পৌর্ণমাসী তথা মিলিলেন আসি
বলিলেন শিঙ্গা আমি দিব।।
এত বলি পৌর্ণমাসী শীঘ্র নিজালয়ে আসি
শিঙ্গা লয়ে আনন্দিত মনে।
হাসিতে হাসিতে গিয়ে সখীগণে শিঙ্গা দিয়ে
বলিলেন রাখিও যতনে।।
শিঙ্গা পেয়ে সখিগণ (রাই) অঙ্গে মাথায় চন্দন
সাজাইল নানাবিধ বেশে।
চূড়াটি বান্ধিল মাথে শিঙ্গা লয়ে দিল হাতে
আপনাকে দেখি রাই হাসে।।
বলরামের বেশ ধরি আনন্দে চলিল গোরী
দক্ষিণ পদ আগে বাড়াইল।
দাস বৃন্দাবন কয় হইল আনন্দময়
ধীরে ধীরে গমন করিল।।