শ্রীশ্রীনামযজ্ঞের শুভ-অধিবাস কীর্ত্তন
ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।
—-ঃঃ—
শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই গৌর হরিবোল
ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।

‘‘জয় রে জয় রে গোরা, শ্রীশচীনন্দন,’’

বল ভাই,—
‘‘জয় রে জয় রে গোরা’’

একবার,–জয় দাও ভাই

সবাই মিলে—জয় দাও ভাই

একবার,–জয় দাও ভাই

পরম-করুণ শ্রীগুরুদেবের—জয় দাও ভাই
শ্রীগুরু-স্বানন্দদাতার—জয় দাও ভাই
শ্রী,–সঙ্কীর্ত্তন-পিতা গৌরহরির—জয় দাও ভাই
আমাদের,–পাগ্‌লা প্রভু নিতাইচাঁদের—জয় দাও ভাই
আমাদের,–দয়ানিধি শ্রীসীতানাথের—জয় দাও ভাই
প্রাণ,–গৌরপ্রিয় শ্রীগদাধরের—জয় দাও ভাই
গৌর,–ভক্তাগ্রগণ্য শ্রীশ্রীবাসপণ্ডিতের—জয় দাও ভাই
আমাদের,–পতিত-পাবন শ্রীগৌরাঙ্গগণের—জয় দাও ভাই
হৃদয়ে,–গৌরলীলা স্ফূর্ত্তি পাবে গৌরগণের—জয় দাও ভাই
সাঙ্গোপাঙ্গে প্রাণ-গৌরাঙ্গের –জয় দাও ভাই

বল ভাই,–‘‘জয় রে জয় রে গোরা,শ্রীশচীনন্দন,
মঙ্গল নটন সুঠাম।’’রে !
নাটুয়া মুরতি

ভুবন-মঙ্গল গৌর আমার—নাটুয়া মুরতি
আমার,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ-নট—নাটুয়া মুরতি
শ্রীরাধাকৃষ্ণ,–প্রণয়-বিকৃতি-আকৃতি গৌর আমার—নাটুয়া মুরতি
যুগল-উজ্জ্বল,–রস-নির্য্যাস-মূরতি গৌর আমার—নাটুয়া মূরতি।
মহাভাব,–প্রেমরস-ঘনাকৃতি গৌর আমার—নাটুয়া মূরতি
আ’মরি,–রাই কানু একাকৃতি গৌর আমার—নাটুয়া মূরতি
স্বর্ণ,–পঞ্চালিকা-ঢাকা-নীলমণি গৌর আমার—নাটুয়া মূরতি
মহা,–রাস-বিলাসের পরিণতি গৌর আমার—নাটুয়া মূরতি
মূরতিমন্ত-প্রেমবৈচিত্ত্য গৌর আমার—নাটুয়া মূরতি
ওগো,–আমার গোরা—নাটুয়া মূরতি
ওগো,–আমার গোরা আমার গোরা আমার প্রাণগোরা—নাটুয়া মূরতি
আমার প্রাণগোরা—নাটুয়া মূরতি
আ’মরি—‘‘মঙ্গল নটন সুঠাম। রে !
আজু,–কীর্ত্তন-আনন্দে,’’

শুভ অধিবাস,–
‘‘কীর্ত্তন-আনন্দে,’’
‘‘শ্রীবাস-রামানন্দে,
মুকুন্দ-বাসু গুণ গান।।’ রে ! !

মুকুন্দ-বাসু গান করে

গোরা,–রসের বদন-পানে চেয়ে—মুকুন্দ-বাসু গানকরে
অনুরাগে ডগমগ হয়ে—মুকুন্দ-বাসু গান করে

আ’মরি,–‘‘মুকুন্দ-বাসু গুণ গান।। রে !!
দ্রাং দ্রাং দ্রিমি দ্রিমি, মাদল বাজত,’’

মধুর মৃদঙ্গ বাজে

মুকুন্দ-বাসু গান করে—তার সনে,–মধুর মৃদঙ্গ বাজে

কত,–গরব করে মৃদঙ্গ বাজে
বাজে,–ধিক্ তান্ ধিক্ তান্

মৃদঙ্গ বাজে—ধিক্ তান্ ধিক্ তান্
মৃদঙ্গ বলে,–যে আমার প্রাণ-গৌর না ভজে—ধিক্‌ তান্ ধিক্‌ তান্
কত,–গরব করে মৃদঙ্গ বাজে—ধিক্‌ তান্‌ ধিক্ তান্

বাজে—‘‘মধুর-মন্দিরা রসাল। রে !
শঙ্খ-করতাল,- ঘন্টা-রব ভেল,
মিলল পদতলে তাল।। রে ! !
আজু,–পদতলে তাল মিলল

গোরার,–কোটি-চন্দ্র-সুশীতল—পদতলে তাল মিলল

গৌর আমার,–তালে তালে পদ ফেলে

নাটুয়া মূরতি—গৌর আমার,–তালে তালে পদ ফেলে
মুকুন্দ-বাসু গান করে—গৌর আমার,–তালে তালে পদ ফেলে
মধুর মৃদঙ্গ বাজে—গৌর আমার,–তালে তালে পদ ফেলে
ভাব-হিল্লোলে হেলে দুলে—গৌর আমার,–তালে তালে পদ ফেলে
আমরি,–‘‘মিলল পদতলে তাল। রে ! !
তখন,–কো দেই গোরা—অঙ্গে, সুগন্ধি—চন্দন,’’

নটন হেরে ভাবে বিভোর হরে,–
‘‘কো দেই গোরা-অঙ্গে, সুগন্ধি চন্দন,
কো দেই মালতীক মাল।’’ রে !

গোরা,–রসের বদন-পানে চেয়ে

আমরি—অনুরাগে ডগমগি হয়ে—গোরা,–রসের বদন-পানে চেয়ে
‘‘কো দেই মালতীক মাল। রে !
অমনি,–পিরীতি-ফুলশরে,’’

গৌর আমার,–মৃদু হেসে বাঁকা দিঠে চেয়ে—অমনি,–
‘‘পিরীতি-ফুলশরে,’’
‘‘মরম ভেদল,’’
ভাবে সহচর ভোর।।’’ রে ! !

আজ,–নিজ নিজ স্বভাব জাগ্‌ল

গোরার,–ঈষৎ-কটাক্ষ-ঈক্ষণে—নিজ নিজ স্বভাব জাগ্‌ল
মহা,–ভাব-বারিধির ভাব-ঈক্ষণে—আজ,–নিজ নিজ স্বভাব জাগ্‌ল

যার,–যেমন ভাব সে তেমনি দেখে

আমার,–ভাবনিধি প্রাণ-গৌরকে—যার,–যেমন ভাব সে তেমনি দেকে

যে,–যেমন দেখে সে তেমনি বলে

নিজ নিজ স্বভাবের বলে—যে,–যেমন দেখে সে তেমনি বলে

‘‘কোই কহত গোরা, জানকী-বল্লভ,’’

আবেশে মুরারি-গুপ্ত বলে
এবে সে মুরারি গুপ্ত

ও যে,–ত্রেতাযুগে হনুমান—এবে সে মুরারি-গুপ্ত
আস্বাদিতে লীলা গুপত—এবে সে মুরারি-গুপ্ত

ও সে,–শয়নে স্বপন আন জানে না
যে,–হৃদয়ে চিরে দেখায়েছিল

শ্রী,–সীতারামের যুগলরূপ—যে,–হৃদয় চিরে দেখায়েছিল

আজ,–সেই স্বভাবের বলে বলে
বলে,–ওগো তোমরা জান কি

প্রাণ,–গৌর আমার জানকী-বল্লভ—ওগো তোমরা জান কি

কেউ বলে,–‘‘রাধার প্রিয়-পাঁচ-বাণ।’’ রে !

বসু-রামানন্দ বলে

তার,–আপন-স্বভাবের বলে—বসু-রামানন্দ বলে

বলে,–ও মুরারি বল্‌ছ কি
তুমি,–কারে দেখে কি বা বলছ
কেন,–নব-দুবর্বাদল বল্‌ছ

শ্যাম,–নবঘনে দেখে—কেন,–নব-দুবর্বাদল বল্‌ছ

বুঝি,–ভাল করে দেখতে পাও নাই

এস,–এস মুরারী আমার কাছে এস—বুঝি,ভাল করে দেখ্‌তে পাও নাই

বলে,–ঐ দেখ মুরারি

আমার,–অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়ে—ঐ দেখ মুরারি

প্রতি,–লোমকূপে জ্যোতি উঠ্‌ছে
উজ্জ্বল,–নীলমণি জ্যোতি উঠ্‌ছে

স্বর্ণবর্ণ ভেদ করি—উজ্জ্বল,–নীলমণির জ্যোতি উঠ্‌ছে
দেখ দেখ ঐ,–স্বর্ণবর্ণ ভেদ করি—উজ্জ্বল,–নীলমণির জ্যোতি উঠ্‌ছে

ওর,–বাঁকা-আঁখি তার সাক্ষী দিছে

দেখ দেখ ঐ—ওর,–বাঁকা-আঁখি তার সাক্ষী দিছে
ও যে,–ব্রজললনার চিতচোর—ওর,–বাঁকা-আঁখি তার সাক্ষী দিছে

তাই বলি,–গৌর আমার রাধারমণ

আছে,–আবরিত রাধার বরণ—গৌর আমার রাধারমণ

[মাতন]
নাম ধরেছে গৌরহরি

রাই-সম্পূটিত বংশীধারী—নাম ধরেছে গৌরহরি

কেই বলে,–‘‘রাধার প্রিয়-পাঁচ-বাণ,’’ রে !
ঠাকুর,–নয়নানন্দের মনে, আন নাহিক জানে,’’

বলে,–আমি মেনে আন জানি না

ওগো,–তোমার যে যাই বল না কেনে—আমি মেনে আন জানি না

আমি ত’ অনুমান মানি না

আমি,–যা দেখি তাই ত’ মানি—আমি,–অনুমানের ধারধারি না

আমি,–নিশিদিশি এই ত’ দেখি

গৌর,–গদাধর ছাড়া রইতে নারে—আমি,–নিশিদিশি এই ত, দেখি
গদাধর,–গৌর বিহনে প্রাণে মরে—আমি,–নিশিদিশি এই ত’ দেখি

তাই বলি,–‘‘হামারি গদাধরের প্রাণ।।’’ রে !!
আমার,–গদাধরের প্রাণ গৌর

ওগো,–তোমরা যে যাই বল না কেনে—আমার,–গদাধরের প্রাণ গৌর
আমি,–কারও কথা শুনতে চাই না—আমার—গদাধরের প্রাণ গৌর
ওগো,–যে যা বলে বলুক না কেনে—আমার, গদাধরের প্রাণ গৌর
আমার,–গদাধরের—প্রাণ গৌর

[মাতন]
———

(২)

‘‘একদিন পহুঁ আসি, অদ্বৈত-মন্দিরে বসি,’’

আ’মরি—যাই রে দিনের বালাই যাই রে

নাম-যজ্ঞরম্ভের পরামর্শের দিন—যাই রে দিনের বালাই যাই রে
‘নাম-যজ্ঞারম্ভের পরামর্শের দিন’—
এই,–কলিযুগের একমাত্র ধর্ম্ম—নাম-যজ্ঞারম্ভের পরামর্শের দিন

আ’মরি,–যাই রে দিনের বালাই যাই রে

‘‘একদিন পহুঁ আসি, অদ্বৈত-মন্দিরে বসি,’’

সেই,–অদ্বৈত মন্দিরে বসি

ও যে,–কেঁদে কেঁদে এনেছে—সেই,–অদ্বৈত-মন্দিরে বসি
‘ও যে,–কেঁদে কেঁদে এনেছে’—
অনশনে গঙ্গাতীরে বসে—ও যে,–কেঁদে কেঁদে এনেছে
আমার,–প্রাণ-কৃষ্ণ এস বলে—ও যে,–কেঁদে কেঁদে এনেছে’
‘আমার,–প্রাণ-কৃষ্ণ এস বলে’—
কলিজীবের দশা বড় মলিন—আমার,–প্রাণ-কৃষ্ণ এস বলে

ও যে,–কেঁদে কেঁদে এনেছে
সেই,–অদ্বৈত-মন্দিরে বসি

যার,–প্রেম-হুঙ্কারে গৌর-অবতার—সেই,–অদ্বৈত-মন্দিরে বসি
আসন,–নাড়াইয়ে নাঢ়া নাম যাঁর—সেই,–অদ্বৈত-মন্দিরে বসি

‘‘বলিলেন শচীর কুমার। রে !
নিত্যানন্দ করি সঙ্গে, অদ্বৈত বসিয়া রঙ্গে,’’

আজ,–আনন্দের আর সীমা নাই রে

নাম-যজ্ঞারম্ভের পরামর্শের দিন—আজ,–আনন্দের আর সীমা নাই রে
আজ,–তিন প্রভু এক ঠাঁই—আনন্দের আর সীমা নাই রে
“মহোৎসবের করিলা বিচার।। রে ! !
গৌর আমার,–‘‘মহোৎসবের করিলা বিচার।।’ রে ! !
তাই,–‘‘শুনিয়া আনন্দে আসি,সীতাঠাকুরাণী হাসি,
বলিলেন মধুর-বচন।’’ রে !

ও,–কিসের কথা কইছ তোমরা

আজ,–তিন-জানায় নির্জ্জনে বসি—ও,–কিসের কথা কইছ তোমরা
সুখের পাথারে সাঁতার দিছ—ও,–কিসের কথা কইছ তোমরা
কথা কইতে কইতে,–সুখের পাথারে সাঁতার দিছ—ও,–কিসের কথা কইছ তোমরা

একবার,–আমি কি শুন্‌তে পাব না

এত সুখের কিসের কথা—একবার, আমি কি শুনতে পাব না

‘‘বলিলেন মধুর-বচন।’’ রে !
সীতাঠাকুরাণী,–‘‘বলিলেন মধুর-বচন। রে !
তা শুনি আনন্দ-মনে, মহোৎসবের বিধানে,
বলে কিছু শচীর নন্দন।।’’ রে !!

আ’মরি,–অমিয়া-মাখান-বোলে

আ’মরি,–হৃদ্-কর্ণ-রসায়ন—অমিয়া-মাখান—বোলে

‘‘বলে কিছু শচীর নন্দন।। রে !!
শুন ঠাকুরাণী সীতা, বৈষ্ণব আনিয়া হেথা,’’

নাম,–সঙ্কীর্ত্তন-যজ্ঞ হবে

এই,–কলিযুগের একমাত্র ধর্ম্ম—নাম,–সঙ্কীর্ত্তন-যজ্ঞ হবে

তাই বলি,–‘‘শুন ঠাকুরাণী সীতা, বৈষ্ণব আনিয়া হেথা,
আমন্ত্রণ করিয়া যতনে।
যে বা গায় যে বাজায়, আমন্ত্রণ করি তায়,
পৃথক পৃথক জনে জনে।।
এত বলি গোরা-রায়, আজ্ঞা দিলা সরাকায়,
বৈষ্ণব করহ আমন্ত্রণে।
খোল, করতাল লৈয়া, অগুরু-চন্দন দিয়া,
পূর্ণঘট করহ স্থাপনে।।
আরোপণ করি কলা, তাহে বাঁধ ফুলমালা,
কীর্ত্তন-মণ্ডলী কুতূহলে।
মাল্য, চন্দন, গুয়া, ঘৃত, মধু, দধি, দিয়া,
খোল-মঙ্গল সন্ধ্যাকালে।।
শুনিয়া প্রভুর কথা,প্রীতে বিধি কৈল যথা,’’

আনন্দ আর ধরে না রে

কেমন গৌরের,–নাম-যজ্ঞ দেখ্‌ব বলে—আনন্দ আর ধরে না রে

‘‘শুনিয়া প্রভুর কথা, প্রীতে বিধি কৈলে যথা,
নানা উপহার গন্ধবাসে।
সবে হরি হরি বলে’’,

আজ,– আর নাই রে অন্য-বোল

‘‘সবে হরি হরি বলে, খোল-মঙ্গল করে,
পরমেশ্বর-দাস রস ভাষে।।’’

——–

(৩)

‘‘নানা দ্রব্য আয়োজন, করি করে নিমন্ত্রণ,
কৃপা করি কর আগমন।’’

ওহে,–বৈষ্ণব-গোসাঞি

ঠাকুরের ঠাকুর—বৈষ্ণব-গোসাঞি
‘‘কৃপা করি কর আগমন।
তোমরা বৈষ্ণবগণ, মোর এই নিবেদন,
দৃষ্টি করি কর সমাপন।।’’
ওহে বৈষ্ণব-গোসাঞি,–‘দৃষ্টি করি কর সমাপন।।’’

তোমাদর,–কৃপা নৈলে হবে না হে

এই,–নাম-সঙ্কীর্ত্তন-মহোৎসব তোমাদের,–কৃপা নৈলে হবে না হে

‘‘করি এত নিবেদন, আনিল মহান্তগণ,’’
এস এস হে

ওহে,–বৈষ্ণব-গোসাঞি—এস এস হে

এস এস হে

কৃপা করি কাঙ্গালের ঘরে—এস এস হে
ওহে,–কাঙ্গালের ঠাকুর—এস এস হে

তোমারই কর হে

এ ত’,–তোমাদের প্রভুর কার্য্য—তোমাদের কর হে
‘‘করি এত নিবেদন, আনিল মহান্তগণ,
কীর্ত্তনের করে অধিবাস।
অনেক-ভাগ্যের ফলে, বৈষ্ণব আসিয়া মিলে,’’

অল্প-ভাগ্যে হয় না

ঠাকুর-বৈষ্ণবের আগমন—অল্প-ভাগ্যে হয় না
‘ঠাকুর-বৈষ্ণবের আগমন’—
গৃহে,–হরি নাম-সঙ্কীর্ত্তন—ঠাকুর-বৈষ্ণবের আগমন

[মাতন]
অল্প-ভাগ্যে হয় না

‘‘অনেক-ভাগ্যের ফলে, বৈষ্ণব আসিয়া মিলে,
কাল হবে কীর্ত্তন-বিলাস।।
শ্রীকৃষ্ণের লীলা-গুণ (গান), করিবেন আস্বাদন,’’

মার্জ্জন হবে রে

চিত্তদর্পম—মার্জ্জন হবে রে
দুর্ব্বাসনা-মালিন্য-দূরেতে যাবে রে
দুর্ব্বাসনা—মালিন্য’—
অনাদিকালের –দূর্ব্বাসনা-মালিন্য

দূরেতে যাবে রে

দুর্ব্বাসনা-মালিন্য—দূরেতে যাবে রে
ভব-মহাদাবাগ্নি—নির্ব্বাপণ হবে রে
ত্রিতাপ-জ্বালা—দূরেতে যাবে রে
‘ত্রিতাপ-জ্বালা’—
আধ্যাত্মিক,–আধিদৈবিক, আধিভৌতিক—ত্রিতাপ-জ্বালা
আমরি,–ত্রিতাপ-জ্বালা-দূরেতে যাবে রে
সবর্ব অমঙ্গল–দূরে পালাবে রে
আর,–সকল-মঙ্গল—উদয় হবে রে
‘সকল-মঙ্গল’—
পরিপূণ,–কৃষ্ণ-প্রাপ্তির অনুকূল—সকল-মঙ্গল
‘সকল-মঙ্গল’
শ্রীকৃষ্ণনাম-গুণ-গানে—সকল-মঙ্গল

উদয় হবে রে

আ’মরি,–সকল-মঙ্গল—উদয় হবে রে

উন্মুখ হবে রে

যত,–বহির্ম্মুখ-চিত্তবৃত্তি—উন্মুখ হবে রে
ভোগ-বাসনা হতে উঠে—উন্মুখ হবে রে
প্রাকৃত,–ভোগ-বাসনা হতে উঠে—উন্মুখ হবে রে
শ্রীকৃষ্ণ-পদে উন্মুখ হবে রে

অনুশীলন করবে

কায়মনোবাক্যে কৃষ্ণ—অনুশীলন কর্‌বে
‘কায়মনোবাক্যে কৃষ্ণ’
সবর্ব-সাধন-শকতি পেয়ে—কায়মনোবাক্যে কৃষ্ণ

অনুশীলন করবে

সবর্ব-সাধন-শকতি পেয়ে—অনুশীলন কর্‌বে
‘সবর্ব-সাধন-শকতি পেয়ে’—
শ্রীকৃষ্ণ-নাম-গুণ-গানে—সবর্ব-সাধন-শকতি পেয়ে

[মাতন]
অনুশীলন করবে

কায়মনোবাক্যে কৃষ্ণ—অনুশীলন করবে

স্নিগ্ধ হবে রে

সবর্বাত্মা—স্নিগ্ধ হবে রে
প্রেমামৃত-সিঞ্চনে’ – স্নিগ্ধ হবে রে
শ্রীকৃষ্ণ-নাম—গুণ-গানে—প্রেমামৃত-সিঞ্চনে

[মাতন]
স্নিগ্ধ হবে রে

সর্ব্বাত্মা—স্নিগ্ধ হবে রে

দূরেতে যাবে রে

এই,–প্রাকৃত-দেহাভিমান—দূরেতে যাবে রে
‘প্রাকৃত-দেহাভিমান’—
সংসার,–বন্ধনের একমাত্র কারণ—প্রাকৃত-দেহাভিমান
দারুণ-সংসার,–বন্ধনের একমাত্র কারণ—এই,–প্রাকৃত-দেহাভিমান।
এই,–প্রাকৃত-দেহাভিমান—দূরেতে যাবে রে

ভূষিত হবে রে

ভাব-ভূষণে—ভূষিত হবে রে
‘নানা-ভাব-ভূষণে’—
কম্প,অশ্রু, পুলকাদি—নানা-ভাব-ভূষণে
শ্রীকৃষ্ণ-নাম-গুণ-গানে—নানা-ভাব ভূষণে

[মাতন]

আ’মরি,–ভূষিত হবে রে
নানা-ভাব-ভূষণে—ভূষিত হবে রে

লুব্ধ হবে রে

গোপী-ভাবামৃতে—লুব্ধ হবে রে

অভিমান পাবে রে

শ্রীরাধাদাসী—অভিমান পাবে রে
‘শ্রীরাধাদাসী-অভিমান পাবে’—
কৃষ্ণ-নাম-গুণ-গানে—রাধাদাসী-অভিমান পাবে

[মাতন]

শ্রীরাধাদাসী—অভিমান পাবে রে

প্রাপ্তি হইবে রে

শ্রীরাদাকৃষ্ণ—প্রাপ্তি হইবে রে
‘শ্রীরাধাকৃষ্ণ প্রাপ্তি হবে’—
ব্রজে গোপী-দেহ পেয়ে—রাধাকৃষ্ণ প্রাপ্তি হবে

[মাতন]
ডুবে যে যাবে রে

যুগল,–সেবামৃত-রসে—ডুবে যে যাবে রে
যুগল,–সেবামৃত-সমুদ্রে—ডুবে যে যাবে রে
শ্রীগুরু-রূপাসখীর আনুগত্যে—ডুবে যে যাবে রে

‘‘শ্রীকৃষ্ণের লীলা-গুণ (গান), করিবেন আস্বাদন,
পূরিবে সবার অভিলাষ।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-চন্দ্র, সকল-ভকতবৃন্দ,
গুণ গায় বৃন্দাবন-দাস।।’’
———-

(৪)

‘‘জয় জয় নবদ্বীপ মাঝ।’’

আজ,–পাথার বয়ে যায় রে

সঙ্কীর্ত্তন,–অধিবাসে নদীয়ায় আনন্দের—পাথার বয়ে যায় রে
‘‘জয় জয় নবদ্বীপ মাঝ।
আজ,–গৌরাঙ্গ-আদেশ পাইয়া, ঠাকুর—অদ্বৈত যাইয়া,
করে খোল-মঙ্গলের সাজ।।’’রে !!

সীতানাথ আমার,–‘‘করে খোল-মঙ্গলের-সাজ।।’’ রে ! !

আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে

আমার,–সীতানাথের অন্তরে—আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে
সঞ্চিত-সাধ পূর্ণ দেখে—আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে
বহুদিনের,–সঞ্চিত-সাধ পূর্ণ দেখে—আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে

বলে,–প্রতিদিনে সফল হল

আমার,–গঙ্গাজন-তুলসী দেওয়া—এতদিনে সফল হল

এতদিনে সুফল ফল্‌ল

অনশনে,–হা কৃষ্ণ বলে কাঁদার—এতদিনে সুফল ফল্‌ল

গেল—কলিজীবের দুঃখ গেল

যার লাগি আমি কেঁদেছিলাম—গেল,–কলিজীবের দুঃখ গেল

আর,–ত্রিতাপ-জ্বালায় জ্বলতে হবে না

এই যে,–তাপ-জুড়ান-নামের প্রচার হল—আর,–ত্রিতাপ-জ্বালায়

জ্বল্‌তে হবে না
প্রেম-বন্যায় জগৎ ভাস্‌বে
কলিহত-জীবে পাবে

ব্রহ্মাদির,–সুদুর্ল্লভ-প্রেমধন—কলিহত-জীবে পাবে

তাই আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে

কলিজীবের,–সৌভাগ্য স্মঙরি সীতানাথের—আনন্দ আর ধরে না রে
‘কলিজীবের,–সৌভাগ্য স্মঙরি’—
হবে,–অনর্পিত-প্রেমের অধিকারী—কলিজীবের সৌভাগ্য স্মঙরি

আনন্দ আর ধরে না রে

শান্তিপুরাধিপ-সীতানাথের মনে—আনন্দ আর ধরে না রে
শান্তি পাবে জগজনে—তাই,–আনন্দ আর ধরে না রে

তাইতে,–সীতানাথের আনন্দিত মন

হবে ব্রতের উদ্‌যাপন—তাইতে,–সীতানাথের আনন্দিত মন

প্রাণে পেয়েছে মহাবল

পেয়ে,–অনশনে ক্রন্দনের ফল—প্রাণে পেয়েছে মহাবল

বলে,–সবাই মিলে হরি বলো

আমার,–ব্রত-উদ্‌যাপন হোলো—সবাই মিলে হরি বলো
সীতানাথ আমার,–‘‘করে খোল-মঙ্গলের সাজ।। রে; ;
আনিয়া বৈষ্ণব সব, হরিবোল কলরব,’’

আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে

শুভ-অধিবাসের আয়োজনে—আজ,–আনন্দ আর ধরে না রে

আজ,–উঠিল আনন্দ—রোল

সবাই বলে হরিবোল—আজ,–উঠিল আনন্দ-রোল

‘‘আনিয়া বৈষ্ণব সব, হরিবোল কলরব,
মহোৎসবের করে অধিবাস রে !
আপনি নিতাই-ধন, দেই মালা-চন্দন,’’

আদর আর কে বা জানে

আদরের মূরতি নিতাই বিনে –আদর আর কে বা জানে
আমার,–নিতাই বিনে আর কে জানে
শ্রীগৌরাঙ্গ-দাসের আদর—আমার,–নিতাই বিনে আর কে জানে

আমার নিত্যানন্দ—রাম

শ্রীবৈষ্ণব-ধাম—আমার নিত্যানন্দ-রাম
‘‘আপনি নিতাই-ধন, দেই মালা-চন্দন,
নিতাই আমার,–করে প্রিয়-বৈষ্ণব-সম্ভাষ।।’’ রে !!

এস,–ধর মালা পর বলে

নিতাই আমার,–চলে যেতে পড়ে ঢলে—এস,–ধর মালা পর বলে
অমিয়া—মাখান-বোলে—এস,–ধর মালা পর বলে
আমরি মৃদু হেসে,–অমিয়া-মাখান-বোলে—এস,–ধর মালা পর বলে

নিতাই-চাঁদের মালা পরাণ নয় রে

যেন,–শকতি জাগায়ে দিল—নিতাই-চাঁদের মালা পরাণ নয় রে
‘যেন,–শকতি জাগায়ে দিল’—
মাল্য-চন্দন পরাবার ছলে—যেন,–শকতি জাগায়ে দিল
নিতাই আমার,–‘‘করে প্রিয়-বৈষ্ণব-সম্ভাষ।। রে !!
অমনি,–‘‘গোবিন্দ মৃদঙ্গ লইয়া, বাজায় তাত্তা থৈয়া থৈয়া,’’

নিতাই-চাঁদের,–পরশে শকতি পাইয়া

মাল্য-চন্দন পরাবার কালে—নিতাই-চাঁদের,–পরশে শকতি পাইয়া
অমনি,–‘‘গোবিন্দ মৃদঙ্গ লইয়া, বাজায় তাত্তা থৈয়া থৈয়া,
করতালে অদ্বৈত চপল।’’ রে !

করতালে অদ্বৈত চপল

পেয়ে প্রাণ গৌরাঙ্গের আজ্ঞাবল—করতালে অদ্বৈত চপল
হরিদাস করে গান, শ্রীবাস ধরয়ে তান।
নাচে গোরা কীর্ত্তন-মঙ্গল।।’রে !!

ভুবন-মঙ্গল গৌর-নাচে

শ্রীসঙ্কীর্ত্তন-অধিবাসে—ভুবন-মঙ্গল গৌর নাচে

নাচে রে গৌরাঙ্গ-নট

শ্রীসঙ্কীর্ত্তন-সুলম্পট—নাচে রে গৌরাঙ্গ-নট
সঙ্কীর্ত্তন-রাস করি প্রকট—নাচে রে গৌরাঙ্গ-নট
সঙ্কীর্ত্তনে রাস করি প্রকট—নাচে রে গৌরাঙ্গ-নট

আমার,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ নাচে

নব-নটবর-সাঝে—আমার,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ নাচে
বিনোদ-নাটুয়া-কাছে—আমার,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ নাচে
নিজ-পারিষদ্‌-গোপী-মাঝে—আমার,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ নাচে

আমার,–সোনার গৌরাঙ্গ নাচে

হেম-কিরণিয়া—আমার,–সোনার গৌরাঙ্গ নাচে

যেন,–সোণারই কমল নাচে

প্রেম-সরোবর-মাঝে—যেন,–সোনারই কমল নাচে
ভাব-হিল্লোল হেলে দুলে—যেন,–সোনারই কমল নাচে

হেলে দুলে প্রাণ-গৌর নাচে

বিংশতি-ভাব-হিল্লোলে—হেলে দুলে প্রাণ-গৌর নাচে
তাথৈয়া তাথৈয়া মৃদঙ্গ বাজে—হেলে দুলে প্রাণ-গৌর নাচে

আমার,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

হেলে দুলে প্রাণ-গৌর নাচে—আমার,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

নিতাই নাচে তার কাছে কাছে

হেমদণ্ড-বাহু পসারিয়ে—নিতাই নাচে তার কাছে কাছে

আমার,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

মা তার,–হাতে হাতে সঁপে দিয়েছে—তাই, –নিতাই নাচে কাছে কাছে
‘মা তার,–হাতে হাতে সঁপে দিয়েছেঁ—
সঙ্কীর্ত্তন আসবার বেলা–মা তার,–হাতে হাতে সঁপে দিয়েছে

দেখো নিতাই থেকো কাছে

প্রাণ-গৌর ধুলায় পড়ে পাছে—দেখো নিতাই থেকো কাছে

তাই,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

প্রাণ-গৌর ঢলে পড়ে পাছে—তাই,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

আর কে বা ধর্‌বে
নিতাই বিনে কে ধরে আর

বিবর্ত্ত-বিলাস-রঙ্গ-ভার—নিতাই বিনে কে ধরে আর

[মাতন]
বিশ্বম্ভরে কে বা ধরে

ধরণীধর নিতাই বিনে—বিশ্বম্ভরে কে বা ধরে

[মাতন]
তাই,–কাছে নাচে সেবাবিগ্রহ নিতাই

বুকে ধরা গোরা পাছে পড়ে ধরায়—তাই,–কাছে নাচে সেবাবিগ্রহ নিতাই
সেতনু লুটাবে ধুলায়—তাই,–কাছে নাচে সেবাবিগ্রহ নিতাই
‘সে তনু লুটাবে ধূলায়’—
যা ধরিতে ভয়বাসি হিযায়—সে তনু লুটাবে ধূলায়

[মাতন]
তাই,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

বুকে ধরা ধন ধূলায় পড়ে পাছে—তাই,–নিতাই নাচে কাছে কাছে
বুকের নিধি ধূলায় পড়ে পাছে—তাই,–নিতাই নাচে কাছে কাছে

নাচিছে নিতাই বাহু-পসারি

ধরিবে নটনপর-গৌরহরি—নাচছে নিতাই বাহু-পসারি

সম্মুখে অদ্বৈত নাচে

গোরা,–রসের বদন-পানে চেয়ে—সম্মুখে অদ্বৈত নাচে

গরবে অদ্বৈত নাচে

হুঙ্কার-গর্জ্জন করি—গরবে অদ্বৈত নাচে
আমি,–এনেছি এনেছি বলে—গরবে অদ্বৈত নাচে

[মাতন]
অদ্বৈত নাচে হেলে দুলে

আমি,–এনেছি এনেছি বলে—অদ্বৈত নাচে হেলে দুলে

[মাতন]

‘আমি,–এনেছি এনেছি বলে’—
আয়,–আয় তোরা দেখে যা–আমি,–এনেছি এনেছি বলে

[মাতন]

আয়,–আয় তোরা দেখে যা’—
নিকুঞ্জ-বিলাস-বৈভব—আয়,–আয় তোরা দেখে যা
আমার,–গৌরকৃতি মদনগোপাল—আয়,–আয় তোরা দেখে যা

[মাতন]
সম্মুখে অদ্বৈত নাচে

গৌরের,–ভাব-অনুরূপ-স্বরূপ পেয়ে—সম্মুখে অদ্বৈত নাচে
মঞ্জরী-আবেশে—সম্মুখে অদ্বৈত নাচে

গদাধর বাম-পাশে আছে

হয়ে,–ছায়ার মত অনুগত—গদাধর বাম-পাশে আছে
প্রাণ,–গৌর-নটন দেখছে—গদাধর বাম-পাশে আছে
‘প্রাণ,–গৌর-নটন দেখ্‌ছে’—
আমার,–বঁধু কেমন সেজেছে—প্রাণ,–গৌর-নটন দেখ্‌ছে
‘আমার,–বঁধু কেমন সেজেছে’—
গদা-রাধা দেখ্‌ছে—আমার,–বঁধু কেমন সেজেছে
গদা-রাধা মনে করিছে—আমার,–বঁধু কেমন সেজেছে

[মাতন]
আজ,–আস্বাদিছে গদা-কিশোরী
এ যে,–আশ-মিটান-লীলা রে
কখনও ত দেখে নাই

বঁধুর মাধুরী দেখেছে বটে—কিন্তু ,–কখনও ত’ দেখে নাই
আপনি,–বামে দাঁড়ালে কি মাধুরী—কখনও ত’ দেখে নাই

আস্বাদন ত’ হয় নাই

যুগল-মাধুরী—আস্বাদন ত’ হয় নাই

তারাই ত’ যুগল হেরে

যারা সম্মুখে থাকে—তারাই ত’ যুগল হেরে
সখী আর মঞ্জরী—তারাই ত’ যুগল হেরে

লোভোৎপত্তি হয়েছিল বটে

তাদের মুখে সুখের বিকাশ দেখে—লভোৎপত্তি হয়েছিল বটে
যুগল-মাধুরী আস্বাদিতে-লোভোৎপত্তি হয়েছিল বটে

আজ,–সে সাধ মিটাইছে
আস্বাদিছে গদা-কিশোরী

আমা-সনে,–মিলে বঁধূর কি মাধুরী—আস্বাদিছে গদা-কিশোরী

[মাতন]
তাইত রাধা হল গদা

পুরাইতে অপূর্ণ-সাধা—তাইতে রাধা হল গদা

তাইতে বুঝি বলেছিল

তাই,-গৌর-প্রিয় গদাধর—তাইতে বুঝি বলেছিল

কোটি কোটি গোপীনাথ-সেবন

গৌর তোমার পাদ-দর্শন—কোটি কোটি গোপীনাথ-সেবন

সে মাধুরী কোথা পাবে

গোপীনাথ-মাধুরী কোটি-গুণিতে হলে—সে মাধুরী কোথা পাবে
যে মাধুরী রাধা-সনে মিল্‌লে—সে মাধুরী কোথা পাবে

তাই তো গদাই-এর অধিক প্রীতি

গোপীনাথ হতে গৌরাঙ্গ-প্রতি—তাই তো গদাই-এর অধিক প্রীতি

আজ,–আস্বাদিছে যুগল-মাধুরী

গদাধর-প্রাণকিশোরী—আজ,–আস্বাদিছে যুগল-মাধুরী

গদাধর বাম-পাশে আছে

অপূর্ণ-ভোগ-ভোগের আশে—গদাধর বাম-পাশে আছে

নরহরি চামর ঢুলাইছে

প্রাণগৌরাঙ্গের,–সঙ্কীর্ত্তন-শ্রম জানি—নরহরি চামর ঢুলাইছে
অনুরাগে ডগমগ হয়ে—নরহরি চামর ঢুলাইছে
গোরা-রসের বদন-পানে চেয়ে—নরহরি চামর ঢুলাইছে
মধুর-মধুর-রঙ্গ দেখ্‌ছে—নরহরি চামর ঢুলাইছে

নাগরীর নাগরালি দেখ্‌ছে

বিলাস-বিবর্ত্ত-বিলাস-রঙ্গে–নাগরীর নাগরালি দেখছে
সঙ্কীর্ত্তন-রাস-রঙ্গে–নাগরীর নাগরালি দেখছে

তার,–দু’নয়নে বারি ঝরছে

নরহরি চামর ঢুলাইছে—তার,–দুনয়নে বারি ঝর্‌ছে

প্রেম-ধারায় ধিক্ মানিছে

সেবা-অনুরাগে নরহরি-প্রেমধারায় ধিক্‌ মানিছে

বলে,–দূরে যা রে প্রেমবারি

আমি,–এখন তোরে চাই না—বলে,–দূরে যারে প্রেমবারি
গোরারসের,–বদন হেরি চামর কর—দূরে যারে প্রেমবারি [

মাতন]

নাগরালির মাধুরী হেরি—দূরে যা রে প্রেমবারি

নরহরি চামর ঢুলাইছে
আজ,–ঘিরে ঘিরে নাচ্‌ছে

শ্রীবাসাদি-ভক্তগণ—ঘিরে ঘিরে নাচ্‌ছে
মণ্ডলী-বন্ধন করি—ঘিরে ঘিরে নাচ্‌ছে

মাঝে নাচে গোরা-বনমালী

চারিদিকে ঘিরে পরিষদ্‌-আলি—তার,–মাঝে নাচ গোরা-বনমালী

মাঝে মাঝে গৌর নাচে

দুই দুই পরিকর—তার,–মাঝে মাঝে গৌর নাচে
সঙ্কীর্ত্তনে রাস রচে—তার,–মাঝে মাঝে গৌর নাচে

আমার,–রসরাজ গৌরাঙ্গ নাচে

নিজ,–পারিষদ্‌গোপী-মাঝে—আমার,–রসরাজ গৌরাঙ্গ নাচে

সবাই মনে করছে

আমারই কাছে গৌর নাচে—সবাই মনে কর্‌ছে

নটন-শোভার বলিহারি যাই

ও,–‘‘গমন নটন-লীলা,’’
ওগো আমার,–চিতচোর প্রাণ-গৌরাঙ্গের-গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–রসরাস-গৌরাঙ্গ-নটের—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–সঙ্কীর্ত্তন-সুলম্পটের-গমন নটন-লীল
ওগো আমার,–নদীয়া-বিনোদ-গৌরাঙ্গের—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–প্রাণ-শচী-দুলালিয়ার—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–সতীনাথের আনা নিধির—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–গদাধরের প্রাণ-বঁধুয়ার—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–শ্রিবাস-অঙ্গনের নাটুয়ার—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–নরহরির চিতচোরের—গমন নটন-লীলা
ওগো আমার,–নিতাই-পাগল-করা গোরার—গমন নটন-লীলা

চলে যেতে নেচে যেছে

নাটুয়া-মূরতি গৌর আমার—চলে যেতে নেচে যেছে
প্রাণ-গৌরাঙ্গের,–নাটুয়া-মূরতি নটন-গতি—চলে যেতে নেচে যেছে

মূরতি দেখে মনে হচ্ছে
বুঝি,–নটনে ওর উৎপত্তি

কোন-দেশে কোন-নিগূঢ়-খেলায়—বুঝি,–নটনে ওর উৎপত্তি

তাই,–চলে যেতে নেচে যায়

আমার গোরা,–ভাবে ভরা রসে গড়া—তাই,–চলে যেতে নেচে যায়
ও,–‘‘গমন নটন-লীলা, বচন সঙ্গীত-কলা,’’

সঙ্গীতেতে কথা কইছে

রসের গোরা চিতচোরা,–চলে যেতে নেচে যেছে—সঙ্গীতেতে কথা কইছে
ওগো আমার,–রসের গোরা চিতচোরা-সঙ্গীতেতে কথা কইছে

যেন,–কতশত—কোকিল কুহরিছে

পঞ্চম-রাগ জিনি—যেন,–কতশত-কোকিল কূহরিছে

না, না,–তাঁতেও তুলনা হয় না
যেন,–অমিয়া-সিন্ধু উথলিছে

জগৎ অমৃতময় কর্‌বে বলে—যেন,–অমিয়া-সিন্ধু উথলিছে
ওগো আমার,–গৌরহরি হরি বলিছে—যেন,–অমিয়া-সিন্ধু উথলিছে

[মাতন]
চল্‌তে নাচে বল্‌তে গায়

আমার,–রসময়-গৌরাঙ্গ-রায়-চল্‌তে নাচে বল্‌তে গায়

[মাতন]
আপনি কি নাচে গায়

কে যেন নাচায় কে যেন বলায়—আপনি কি নাচে গায়

বুঝি ওরে নাচায় গাওয়ায়

মনে হয় শ্রীগুরু-প্রেরণায়—বুঝি ওরে নাচায় গাওয়ায়
বিলাস-বিবর্ত-বিলাস-রঙ্গে—বুঝি ওরে নাচায় গাওয়ায়

তারই বিকাশে নটন গান

বিলাস-রঙ্গের উঠেছে তুফান—তারই বিকাশে নটন গান
‘‘মধুর-চাহনি আকর্ষণ।’’

তারই আঁখি মন হরিছে

একবার,–হরি বলে যার পানে চাইছে—তারই আঁখি-মন হরিছে
হরি বলে যার পানে চাইছে’—
আমার,–রসের গোরা নেচে নেচে—হরি বলে যার পানে চাইছে

[মাতন]
তারই আঁখি-মন হরিছে
ও ত’ হরি বলা নয় গো
বলে কয়ে করছে চুরি

চিতচোর গৌরহরি-বলে কয়ে কর্‌ছে চুরি

ও ত’ চাওলা নয় শর-সন্ধান

স্বভাব জাগায়ে হানিছে বাণ—ও ত’ চাওয়া নয় শর-সন্ধান

সে অমনি ঢলে পড়িছে

হরি বলে যার পানে চাইছে—সে অমনি ঢলে পড়িছে
ভাবতে অবশ হয়ে—সে অমনি ঢলে পড়িছে
চাহনিতে বাণ হেনেছে—তাই,–সে অম্‌নি ঢলে পড়িছে
তাইতে অবশ হয়ে—সে অমনি ঢলে পড়িছে

সে,–ভাবাবেশে ঢলে পড়িছে

আমার,–ভাবনিধি যার পানে চাইছে—সে,–ভাবাবেশে ঢলে পড়িছে

জীবন-যৌবনে সঁপে দিয়েছে

কায়-মনে গোরা-পদে বিকাইছে—জীবন-যৌবন সঁপে দিয়েছে

অপরূপ গৌরাঙ্গ-রঙ্গ

চাহনিতে কি মধুর-রঙ্গ—অপরূপ গৌরাঙ্গ-রঙ্গ

মধুর-রঙ্গে মাতাল জগতে

হরি বলে নয়ন-বাণাঘাতে—মধুর-রঙ্গে মাতাল জগতে

তাইতে নয়ন-বাণ হানিছে

ভোগ-লালসা জেগে উঠেছে—তাহাতে নয়ন-বাণ হানিছে

গোরা-চাহনি কি বা মধুর

স্বভাব জাগায় নদীয়া-বধুর—গোরা চাহনি কি বা মধুর

অপরূপ গৌরাঙ্গ-রঙ্গ
বাহু পসারি করছে কোলে

বাণ-সন্ধানে যে পড়্‌ছে ঢলে—বাহু পসারি কর্‌ছে কোলে

আমার,–রসের গৌরাঙ্গ নাচে
অমারা,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ নাচে

তারে,–বাহু পসারি হৃদে ধরি—আমার,–রসরাজ-গৌরাঙ্গ নাচে

আমার,–রসিয়া-গৌরাঙ্গ নাচে
আমার,–বিলাসি-গৌরাঙ্গ নাচে

জগজীবে রসবরষিয়ে—আমার,–বিলাসি-গৌরাঙ্গ নাচে
যে,–ঢলে পড়ে তার বুকে ধরে—আমার,–বিলাসি-গৌরাঙ্গ নাচে

[মাতন]
নাচে,–গৌরাঙ্গ নাগর-বর

কীর্ত্তন,–কেলিরস-তৎপর—নাচে,–গৌরাঙ্গ নাগর-বর

নাচে,–রসের গোরা হেলে দুলে

রস-কেলি-কল্লোলে—নাচে,–রসের গোরা হেলে দুলে
‘‘মধুর-চাহনি আকর্ষণ।’’
ও,–‘‘রঙ্গ বিনে নাহি অঙ্গ,’’

প্রতি অঙ্গ রঙ্গে গড়া

আমার,–রঙ্গিয়া প্রাণ-গৌরাঙ্গের—প্রতি অঙ্গ রঙ্গে গড়া
আমার,–অনঙ্গ মোহন-গৌরাঙ্গের—প্রতি অঙ্গ রঙ্গে গড়া
রঙ্গের মন্দির গোরার—প্রতি অঙ্গ রঙ্গে গড়া
‘রঙ্গের মন্দির গোরা’—
বিলাস-বিবর্ত্ত-বিলাস—রঙ্গের মন্দির গোরা
নবীন-কামের কোঁড়া—রঙ্গের মন্দির গোরা

[মাতন]
দেখে মনে হয় ঐ মূরতি

বুঝি,–রঙ্গেতে ওর উৎপত্তি—দেখে—মনে হয় ঐ মূরতি

তাই, প্রতি অঙ্গে বিকাশ কেলিরস

রাস-কেলি হতে যেরূপ প্রকট—তাই,–প্রতি অঙ্গে বিকাশ কেলিরস

আ’মরি কি মূরতি মধুর

কেলি-রঙ্গ-রসপুর—আমরি কি মূরতি মধুর

সে,–কেলিরসে হয় নিমজ্জিত

গৌরের কোন অঙ্গে,–যার দৃষ্টি হয় নিপতিত—সে,–কেলিরসে হয় নিমজ্জিত

আমার গৌরের প্রতি অঙ্গ রঙ্গ করে

বিশেষ-অঙ্গের অপেক্ষা না করে—আমার গৌরের,–প্রতি অঙ্গ রঙ্গ করে
রঙ্গ ছাড়া রইতে নারে—প্রতি অঙ্গ রঙ্গ করে

উহার ত’ ঐ স্বভাব

নিরন্তর রঙ্গ করা—উহার ত’ ঐ স্বভাব

রঙ্গ-আশা মিটে নাই গো

যমুনা-পুলিন-বনে—রঙ্গ-আশা মিটে নাই গো

তাই, এসেছে সুরধনী-পুলিনে

এসেছে,–রঙ্গ-সাধ মিটাইতে—তাই, এসেছে সুরধুনী—পুলিনে
জগজীবের স্বভাব জাগাইয়ে—তাই, এসেছে সুরধুনী-পুলিনে

বিশ্বম্ভর-নাম পূর্ণ কর্‌ছে

আজ,–সঙ্কীর্ত্তন-রাসরঙ্গে—বিশ্বম্ভর-নাম পূর্ণ কর্‌ছে
স্বভাব জাগায়ে রঙ্গ করছে—বিশ্বম্ভর-নাম-পূর্ণ করছে
‘স্বভাব জাগায়ে রঙ্গ করেছে’—
স্থাবর-জঙ্গম,–গুল্ম-লতা-পশু-পাখীর—স্বভাব জাগায়ে রঙ্গ কর্‌ছে
অপূর্ণ-সাধ পূর্ণ করছে—স্বভাব জাগায়ে রঙ্গ করছে

বুঝি,–স্বভাব জাগাতে এসেছে এবার

সঙ্কীর্ত্তন—রাস রঙ্গে—বুঝি,–স্বভাব জাগাতে এসেছে এবার
ভাবে বিভাবিত হয়ে রাধার—বুঝি,–স্বভাব জাগাতে এসেছে এবার
অখিল-ভুবনবাসীর—বুঝি,–স্বভাব জাগাতে এসেছে এবার
সঙ্কীর্ত্তন-রাস,–রঙ্গভূমি-নদীয়ায়—বুঝি,–স্বভাব জাগাতে এসেছে এবার

স্বভাব জাগাতে হয় না রে
দেখেলে স্বভাব জেগে উঠে

স্বরূপ-জাগান গোরা-স্বরূপে—দেখ্‌লে স্বভাব জেগে উঠে

আপনি কাছে আসে ছুটে

দেখ্‌লে স্বভাব জেগে উঠে—আপনি কাছে আসে ছুটে
ভোগীকে ভোগ দিবার আশে—আপনি কাছে আসে ছুটে
ভোগী তখন রস লুটে—আপনি কাছে আসে ছুটে
‘‘রঙ্গ বিনে নাহি অঙ্গ, ভাব বিনে নাহি সঙ্গ,’’

অভাবের সঙ্গ করে না

আমার,–ভাবনিধি প্রাণ গৌরাঙ্গ—অভাবের সঙ্গ করে না
অভাবে থাকা দেখ্‌তে পারে না—অভাবের সঙ্গ করে না
এ যে ওর জাত-স্বভাব-অভাবের সঙ্গ করে না

স্বভাব জাগায়ে করে সঙ্গ

ও-মা ওর কি গরজ বালাই—স্বভাব জাগায়ে করে সঙ্গ

নিশিদিশি ভাব-প্রসঙ্গ

অন্তরঙ্গ-ভাবুক-সঙ্গে—নিশিদিশি ভাব-প্রসঙ্গ

ভাব-ভূষণে ভূষিত অঙ্গ

কম্প, অশ্রু, পুলকাদি—ভাব-ভূষণে ভূষিত অঙ্গ

ও-ত’ নয় অষ্ট-সাত্ত্বিক

ও-যে কেলি রঙ্গের বিকাশ—ও-ত’ নয় অষ্ট-সাত্ত্বিক
আ’মরি,–‘‘রসময় দেহের গঠন।।’’

আমার,–গৌর কিশোর-বর

আরে আরে আরে আমার—গৌর কিশোর-বর
আরে আমার চিতচোর—গৌর কিশোর-বর
রসে তনু ঢর ঢর—গৌর কিশোর-বর
অখিল-মরম-চোর—গৌর কিশোর-বর
শ্রীনবদ্বীপ-পুরন্দর—গৌর কিশোর-বর

[মাতন]

অভিনব নাগর-বর
চিতচোর গৌর-কিশোর—অভিনব নাগর-বর
এক,–নব-রসের মুরতি ধরেছে—অভিনব নাগর-বর
মহাভাব-রসের সম্মিলনে—অভিনব নাগর-বর
‘‘নাচে গোরা কীর্ত্তন-মঙ্গল।। রে !!
চৌদিকে বৈষ্ণবগণ, হরি বলে ঘনে ঘন,’’

আজ,–বয়ে যায় রে প্রেমের পাথার
বয়ে যায় গৌর-প্রেমের পাথার
বয়ে যায় মধুর-রসের পাথার

সঙ্কীর্ত্তন,–অধিবাসে নদীয়ায়—রয়ে যায় মধুর-রসের পাথার

তাতে,–সুখেতে দিতেছে সাঁতার

যত,–ভক্ত-হংস-চক্রবাক তায়—সুখেতে দিতেছে সাঁতার
নিতাই-তরঙ্গে নেচে নেচে—সুখেতে দিতেছে সাঁতার
‘নিতাই-তরঙ্গে নেচে নেচে’—
করুণা-বাতাসে হেলে দুলে—নিতাই-তরঙ্গে নেচে নেচে [মাতন]
আমরি,–সুখেতে দিতেছে সাঁতার
আমরি,–গোরা-রস-বক্ষ-বিহার—সুখেতে দিতেছে সাঁতার

‘‘চৌদিকে বৈষ্ণবগণ, হরি বলে ঘনে ঘন,
কাল হবে কীর্ত্তন-মহোৎসব।’’ রে !

সবে হরি হরি বলে

নিশি-পরভাতে,–নাম যজ্ঞ দেখব বলে—সবে হরি হরি বলে

নয়ন-ভরে দেখ্ব মোরা

কেমন গৌরের নাম-যজ্ঞ—নয়ন-ভরে দেখ্ব মোরা

‘‘আজ খোল-মঙ্গলি, রাখিয়ে আনন্দ করি,
বংশী বলে দেহ জয়-বর।।’’ রে !!
প্রাণভরে জয় দাও ভাই

আমার,–দয়ানিধি-সীতানাথের—প্রাণভরে জয় দাও ভাই

প্রাণভরে জয় দাও ভাই

আমার,–নিতাই-গৌর-সীতানাথেব-প্রাণভরে জয় দাও ভাই
‘নিতাই, গৌর, সীতানাথ’—
তিন প্রভু, এক তনু-মন—নিতাই, গৌর, সীতানাথ

প্রাণভরে জয় দাও ভাই
নিতাই, গৌর, সীতনাথ

জয় রে জয় রে জয়—নিতাই, গৌর, সীতানাথ

[মাতন]

হোতা, যজ্ঞেশ্বর, যজমান—নিতাই, গৌর, সীতানাথ

[মাতন]

ভিনু ভিনু দেহ একই পরাণ—নিতাই গৌর, সীতানাথ

[মাতন]
জয়,–গৌরাঙ্গ-প্রেমসিন্ধু জয়

তাতে নিতাই-তরঙ্গ জয়—জয়,–গৌরাঙ্গ-প্রেমসিন্ধু জয়
অদ্বৈত-করুণা-বাতাস জয়—জয়,–গৌরাঙ্গ-প্রেমসিন্ধু জয়

জয়,–নিতাই, গৌর, সীতানাথ

জয়,–গদাধর, শ্রীনিবাস—জয়,–নিতাই, গৌর সীতানাথ

[মাতন]

‘‘ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’ [মাতন]
শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।।

———


অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ