জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
(এই নাম গাহিতে গাহিতে শ্রীধামপুরী স্টেশন হইতে শ্রীঝাঁজপীটা মঠে
আগমন ও শ্রীশ্রীবড় বাবাজী মহারাঝের সম্মুখে কীর্ত্তন)
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’
নিতাই গৌর প্রেমের পাগল—হা,পরম করুণ শ্রীগুরুদেব
কে আমি আমাদের কি কর্ত্তব্য—আমরা কিছুই তো জানতাম না
মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা—আমরা,–কিছুই তো জানতাম না
তুমি,—নিজগুণে জানাইলে
সংসার কূপ হ’তে টেনে তুলে,—তুমি,—নিজগুণে জানাইলে
‘সংসার কূপ হতে টেনে তুলে’—
কৃপাক করে কেশে ধরে—সংসার কূপ হতে টেনে তুলে
সঙ্গে করে লয়ে এলে
এই,–রথযাত্রায় শ্রীনীলাচলে—সঙ্গে করে লয়ে এলে
ভাবাবেশে কীর্ত্তন-রঙ্গে—তোমার,–প্রাণগৌরলীলা জানাইলে
দেখাব বলে বলেছিলে
ভাবাবেশে ইঙ্গিত করে—দেখাব বলে বলেছিলে
লুকাইয়ে কর্ছ খেলা
এই মধুর নীলাচলে—লুকাইয়ে করছ খেলা
তোমার প্রাণ-গৌর লয়ে—লুকাইয়ে করছ খেলা
ত্রিকালসত্য-লীলায়—লুকাইয়ে করছ খেলা
আমরা ভাই ভাই মিলে
তোমারই কৃপা-ইঙ্গিতে—এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে
প্রাণগৌরলীলা দেখব বলে—এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে
আমরা,–নিতাইগণের আনুগত্যে—এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে
প্রাণগৌর-লীলা ভোগ করব বলে—এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে
এস প্রাণের রাধারমণ
নিতাই-গৌর-প্রেমের পাগল—এস প্রাণের রাধারমণ
প্রেমবাহু পসারিয়ে—তেমনি করে কোলে লও
প্রেম-দিঠে চেয়ে আয় আয় বলে—তেমনি করে কোলে লও
তোমার আশ্রিত-জনে—তেমনি করে কোলে লও
এসেছেন তোমার নিতাই-গণ—কর আদর-সম্ভাষণ
‘এসেছেন তোমার নিতাইগণ,–
ব্রজ-গৌড়মণ্ডল হতে—এসেছেন তোমার নিতাইগণ
আমরা তো জানি না—তুমি,–কর আদর সম্ভাষণ
এসেছে বালক-বালিকাগণ—তুমি,–কর আদর-সম্ভাষণ
হেসে হেসে তাদের পানে চেয়ে—তুমি,–কর আদর-সম্ভাষণ
এস আমার পাগলা প্রভু—সঙ্গে করে লয়ে চল
এস প্রাণের রাধারমণ—সঙ্গে করে লয়ে চল
প্রাণ,–গৌরলীলা ভোগ করাতে—সঙ্গে করে লয়ে চল
শকতি সঞ্চার করে—প্রাণে প্রাণে ভোগ করাও
ভক্ত-সঙ্গে মিলন রঙ্গ—প্রাণে প্রাণে ভোগ করাও
‘ভক্ত-সঙ্গে মিলন রঙ্গ’—
প্রাণের প্রাণ শ্রীগৌরাঙ্গের—ভক্ত-সঙ্গে মিলন রঙ্গ
সঙ্গে করে লয়ে চল
যাই আমরা সবাই মিলে—সঙ্গে করে লয়ে চল
সম্মিলন-লীলা গাইতে গাইতে—তেমনি করে চল প্রভু
তোমার,–পিছে পিছে যাব মোরা,–তুমি,–তেমনি করে চল প্রভু
নিতাই-গৌর-প্রেমাবেশে—তেমনি করে নেচে চল
সেই,–ভাবাবিষ্ট মুরতিখানি—অনেকদিন দেখি নাই
পাগলা প্রভু রাধারমণ—তেমনি করে চল হে
নিতাই-গৌর-গুণ গাইতে গাইতে—যাই সবে তোমায় ঘিরে
(শ্রীশ্রীঝাঁজপীটা মঠ হইতে বর্হিগত হইয়া শ্রীশ্রীসিংহদ্বারে আগমন ও ভক্তসম্মিলন-লীলা কীর্ত্তন)
শ্রীরথযাত্রায় এই নীলাচলে—মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা।
ভাগ্যবান জনে দেখছে—ত্রিকালসত্য প্রাণগৌর-লীলা
‘ভাগ্যবান জনে দেখছে’—
শ্রীগুরু-কৃপায় যার,–প্রেম-নেত্রের বিকাশ হয়েছে—
আজ্ঞা আছে প্রাণ-গৌরাঙ্গের
শ্রীশান্তিপুর-নাথের প্রতি—আজ্ঞা আছে প্রাণ-গৌরাঙ্গের
রথযাত্রায়,–প্রতিবর্ষে নীলাচলে আসতে—আজ্ঞা আছে প্রণ-গৌরাঙ্গের
‘প্রতিবর্ষে নীলাচলে আসতে’—
গৌড়দেশের ভক্ত-সাথে,–প্রতিবর্ষে নীলাচলে আসতে
আমরা,–প্রাণগৌর দেখতে যাব—দাও মা আমাদের বিদায় দাও
তোমার,–পদধূলি শিরে দিয়ে—দাও মা আমাদের বিদায় দাও
এই রথযাত্রায় নীলাচলে—প্রাণগৌর দেখতে যাব
দেখতে তোমার প্রাণদুলালে—যাব আমরা নীলাচলে
চলিলেন নীলাচল-পুরে।
শ্রীনিবাস হরিদাস, অদ্বৈত-আচার্য্য-পাশ,
আসি,–মিলিলা সকল সহচরে।।’’
আমরা,–প্রাণগৌর দেখতে যাব-চল শান্তিপুর-নাথ
মধুর শ্রীনীলাচলে,–প্রাণগৌর দেখতে যাব—চল শান্তিপুর-নাথ
নিজ,–আপ্তবর্গ সঙ্গে লয়ে,–চলিলেন সেন শিবানন্দ
ঘাঁটা সমাধান করবে বলে—চলিলেন সেন শিবানন্দ
তিনপুত্র সঙ্গে লয়ে—চলিলেন সেন শিবানন্দ
কুলীন-গ্রামবাসী সঙ্গে লয়ে—চলিলেন বসু রামানন্দ
প্রভুর,–আদিষ্ট পট্টডুবি লয়ে—চলিলেন বসু রামানন্দ
প্রভুর সেব্য-দ্রব্যে ঝালি সাজায়ে-চলিলেন রাঘব-পণ্ডিত
পানিহাটবাসী সঙ্গে লয়ে—চলিলেন রাঘব-পণ্ডিত
প্রাণগৌর বলে কাঁদতে কাঁদতে,–চলিলেন রাঘব-পণ্ডিত
মিলিলা সকল সহচরে।।
নিতাই-অদ্বৈত-সঙ্গে, মিলিলা-কৌতুক-রঙ্গে,
নীলাচল-পথে চলিযায়।’’
‘হা গৌর’ বলে কাঁদতে কাঁদতে –চলিল,–গৌর-প্রেমের পাগলরে দল
গৌর-লীলা-গুণ গাইতে গাইতে—চলিল,–গৌর-প্রেমের পাগলের দল
গৌর-সিন্ধুতে মিলবে বলে,–চলিল,–গৌরাঙ্গগণ নদনদী
গৌর-সিন্ধুতে ভেটিতে—হেলে দুলে যায় রে
গৌর-সিন্ধুতে ভেটিতে যায়—গৌরাঙ্গগণ নদনদী
অতি উৎকণ্ঠিত মনে, হেরিতে গৌরাঙ্গ-ধনে,
অনুরাগে আকুল-হিয়ায়।।’’
অতি-উৎকণ্ঠিত-মনে—আহার নাই নিদ্রা নাই
হা নবদ্বীপ-সুধাকর বলে—আহার নাই নিদ্রা নাই
নয়ন-জলে ভাসে সদাই—আহার নাই নিদ্রা নাই
পথে দেবালয়গণ, করি কত দরশন,’’
পথে দেখে যে দেবতারে—তারে,–করযোড়ে প্রার্থন করে
যেন আমরা দেখতে পাই—করযোড়ে প্রার্থনা করে
যেন,–দেখতে পাই প্রাণশচীনন্দন—এই,–কৃপা কর দেব-দেবীগণ
দেখতে যাব প্রাণ-শচীদুলালে—কৃপা কর সবাই মিলে
আসি-উতরিলা আঠার-নালাতে।।
সকল ভকত-সাথে, নাচি গাই মন-সাধে,
যায় সবে গৌরাঙ্গ দেখিতে।
কীর্ত্তনের মহারোল, ঘন ঘন হরিবোল,’’
আঠার-নালার পথে—ঘন ঘন হরিবোল
দূর হতে শ্রীমন্দির দেখে—সবার—আনন্দের আর সীমা নাই রে
প্রাণে প্রাণে পড়েছে টান—আর কি প্রভু রইতে পারে
‘প্রাণে প্রাণে পড়েছে টান,’—
আসিছেন সীতানাথ অবধূত সঙ্গে করে—প্রাণে প্রাণে পড়েছে টান
অদ্বৈত-নিতাই মাঝে নাচে।
শুনি নীলাচল-বাসী, পরম-আনন্দে ভাসি,
দেখিবারে ধায় আগে পাছে।।’’
বলে,–এ-কি অপরূপ নামের ধ্বনি
আঠার-নালার পথে শুনি—এ-কি অপরূপ নামের ধ্বনি
এ যে,–প্রাণ ধরে করে টানটানি—এমন,–নামের ধ্বনি কভু না শুনি
স্বরূপ-রামরায়-সাথে—প্রভু,–বসেছিলেন গম্ভীরাতে
আগুসরি যায় মিলিবারে।’’
বলে,–শুন স্বরূপ ! রামরায় !
অপরূপ,–নামের ধ্বনি শুনা যায়;
আঠার-নালার পথে—অপরূপ,–নামের ধ্বনি শুনা যায়
ঐ,–নামের ধ্বনি শুনা যায়—ঐ,–ধ্বনি চঞ্চল করিল আমায়(মাতন)
আমার,–গৌড়দেশের ভক্ত লয়ে—বুঝি,–আসিছেন শান্তিপুর-নাথ
আমার,–গৌড়দেশের ভক্ত বিনে—নইলে এমন,–নামের ধ্বনি কেবা
আগুসারি যায় মিলিবারে।’’
জগজনে এই ত জানে
নদনদী ধায় সিন্ধু-পানে—জগজনে এই তা জানে
মিলিবারে সিন্ধু-সনে—নদ-নদী ধায় সিন্ধু-পানে
মিলিবারে নদ-নদী-সনে—সিন্ধু ধাইছে ব্যাকুল-প্রাণে
সিন্ধু ধাইছে উজান-পানে
মিলিবারে নদী-নদী-সনে—সিন্ধু ধাইছে উজান-পানে
‘‘শুনিয়া গৌরাঙ্গ-হরি স্বরূপাদি সঙ্গে করি,
পথে আসি দিলা দরশন।
মিলিলা সবার সঙ্গে, আনন্দে কৌতুক-রঙ্গে,
প্রেমদাসের আনন্দিত মন।।’’
(এই সময়ে শ্রীগম্ভীরায় মহান্ত মহরাজ আসিয়া সিংহদ্বারে সকলকে মাল্য চন্দন পরাইলেন)
শ্রীরথযাত্রায় নীলাচলে—মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা
আঠার-নালার পথে—ভক্ত-সম্মিলন-লীলা
যে দেখেছে সেই ত জানে—অপরূপ সে মিলন-রঙ্গ
আঠার নালার পথে—অপরূপ সে মিলন-রঙ্গ
দূরে পরস্পর হেরি’—কারো পদ চলে না
কারো পদ চলে না—কারো মুখে না সরে রা
সবারই নয়নে ধারা—না চলে পা না সরে রা
কেউ ত কিছু বলতে নারে
দূর হতে পরস্পরে হেরে—কেউ ত কিছু বলতে নারে
সবার,–প্রেমে কণ্ঠ রোধ হল—কেউ ত কিছু বলতে নারে
একবার ভাই কর রে স্মরণ সেই আশায় এসেছি মোরা
দেখব বলে সেই লীলা—সেই আশায় এসেছি মোরা
তাই ভাই ভাই মিলে—সেই আশায় এসেছি মোরা
প্রেমভর গর গর, গৌরাঙ্গের মন রে।।
প্রাণ-গৌরাঙ্গের দুই-বাহু—নিতাই-সীতানাথে পেয়ে
নিতাই-সীতানাথে পেয়ে—দুবাহুতে দুজনায় ধরে
দুবাহুতে দুজনায় ধরে—দুই জনে কৈল আলিঙ্গন
শ্রীচৈতন্য-কল্পতরুর—না জানি কি শোভা হইল
প্রধান দুই স্কন্ধ পেয়ে—আজ হলেন সুশোভিত
যত ভক্তগণ শাখা পত্র পল্লব,–শ্রীচৈতন্য কল্পতরু—আজ হলেন সুশোভিত
নিতাই-অদ্বৈতে প্রভু করি নিজ-কোলে।
ভাসিল সকল অঙ্গ নয়নেরি জলে।।
শ্রীবাসেরে কোলে করি কাঁদেন গৌরাঙ্গ।’’
প্রেম-জলে ভাসি গেল, শ্রীবাসের অঙ্গ।।’’
গৌর-লীলা সঙরি—আজ সেই কাঁদবার দিন
অন্তরীক্ষে দেবগণ—আজি করিছেন পুষ্প বরিষণ(মাতন)
অদ্বৈতাদি-মহানদীর, হইল মিলনে।।
উথলিল প্রেমসিন্ধু, উপজিল ঢেউ।
ডুবিল নীলাচলবাসী, স্থির নহে কেউ।।’’
ভাগ্যবান নীলাচাবাসী—প্রেম-পাথারে সাঁতারে
অন্তরীক্ষ দেবগণ—প্রেম-পাথারে সাঁতারে
দেখি,–ভক্ত-সনে প্রাণ-গৌরাঙ্গের মিলন—প্রেম পাথারে সাঁতারে
আজ সেই কাঁদবার দিন—আয় ভাই আমরা সবাই কাঁদি
মিলন-রঙ্গ সঙরিয়ে—আয় ভাই আমরা সবাই কাঁদি
এসেছেন প্রাণ-গৌরাঙ্গ
করিতে মিলন-রঙ্গ—এসেছেন প্রাণ-গৌরাঙ্গ
ত্রিকাল-সত্য-লীলায়—এসেছেন প্রাণ-গৌরাঙ্গ
একে একে মিলিলা সকল সহচরী।।
মুকুন্দ মুরারি হরিদাস দামোদর।
একে একে মিলিলা সকল সহচর।।
অপরূপ প্রেমসিন্ধু-গৌরসিন্ধু সনে।
অদ্বৈতাদি-মহানদীর হইল মিলনে।।
মুকুন্দ মাধব আদি যত নদী-নালা।
একে একে সবে আসি গৌরসিন্ধুতে মিলিলা।।
পাইয়া নদীর সঙ্গ সিন্ধু উথলিল।
আনন্দ তুফান তায় আসিয়া মিলিল।।
উপজিল প্রেম বন্যা ডুবিল নীলাচল।
স্থির নহে কেউ সবে হইলা পাগল।।’’
ভাগ্যবান নীলাচলবাসী—একবার দেখাও গো
(গম্ভীরা হইতে সংকীর্ত্তন, আগমন দেখিয়া উক্তি)
তোমরা হও গম্ভীরাবাসী
অনুমানে হেন মনে বাসি—তোমরা হও গম্ভীরাবাসী
কোথা প্রাণের গোরাশশী—দয়া করে বলে দাও
ওগো তোমাদের পায়ে পড়ি—দয়া করে বলে দাও
আমরা,–প্রাণ-গৌর দেখতে এলাম—দয়া করে বলে দাও
‘প্রাণগৌর দেখতে এলাম’—
গৌড়দেশ হতে মোরা—প্রাণগৌর দেখতে এলাম
কোথা প্রাণের গোরাশশী—দয়া করে বলে দাও
ওগো তোমাদের পায়ে ধরি—সঙ্গে করে লয়ে চল
সঙ্গে করে লয়ে চল—প্রাণগৌর দেখতে এলাম
দেখব প্রাণের গোরাশশী—লয়ে চল গম্ভীরাবাসী
ওগো নীলাচলবাসী—দেখব প্রাণের গোরাশশী
(সিংহদ্বার হইতে গম্ভীরায় গমন ও কীর্ত্তন)
প্রাণগৌর এখানে করেন বাস—এই তো কাশীমিশ্রাবাস
এখানে থাকেন প্রাণগোরা—এই তো নিভৃত-গম্ভীরা
স্বরূপ-রামানন্দ-সনে—থাকেন রস-আলাপনে
চিতচোরা প্রাণগোরা—থাকেন এই গম্ভীরায়
শ্রীগৌড়মণ্ডল হতে—বড়,–আশা করে এসেছি মোরা
দেখিতে আমাদের প্রাণগোরা—আশা করে এসেছি মোরা
দেখতে,–চিতচোরা প্রাণগোরা—আশা করে এসেছি মোরা(মাতন)
হা গৌর প্রাণগৌর !—একবার দেখা দাও
ওহে,–নদীয়া-বিনোদিয়া ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–প্রাণ-শচী-দুলালিয়া ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–শ্রীবাস-অঙ্গনের নাটুয়া ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–গদাধরের প্রাণ-বঁধুয়া ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–নদীয়া-নাগরী-মোহনিয়া ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–নরহরির চিতচোর ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–রসময় গৌর-কিশোর ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–নবদ্বীপ-সুধাকর ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–শ্রীসনাতনের গতি ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–শ্রীরূপ-হৃৎকেতন ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–দাস-রঘুনাথের সাধনের ধন ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–লোকনাথের হৃদবিহারী ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–শ্রীগোপালভট্টের পরাণ ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–মুকুন্দ-মন-উন্মাদন ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–বসু-রামানন্দের পরাণ ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–জগদানন্দের প্রিয় ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–বাসুদেবদত্তের জীবন ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–শিবানন্দের হৃদয়নন্দ ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–রাঘবপণ্ডিতের পরাণ ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–চন্দ্রশেখর-মন-মুগ্ধকারী ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–হরিদাসের চিত্ত-বিনোদন ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–তপনমিশ্রের বাঞ্ছা পূর্ণকারী ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–প্রকাশানন্দের নয়নানন্দ ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–সার্ব্বভৌমের চৈতন্যদাতা ! ‘‘দাঁড়াও’’
রাজা—প্রতাপরুদ্রের ত্রাণকারী ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–গজপতি-উদ্ধারণ ! ‘‘দাঁড়াও’’
এস প্রাণের শচীনন্দন—গজপতি উদ্ধারণ। (মাতন)
ওহে,–অমোঘের প্রাণদাতা ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–স্বরূপের সরবস ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–রামরায়ের চিতচোরা ! ‘‘দাঁড়াও’’
ওহে,–গম্ভীরার গুপ্তনিধি ! ‘‘দাঁড়াও’’
এই গম্ভীরার গুপ্তনিধি—দাঁড়াও রসের বদন হেরি। (মাতন)
ওহে,–নিতাই-পাগল-করা গোরা ! দাঁড়াও’’
নিতাই-পাগল-করা গোরা—দাঁড়াও রসের বদন হেরি (মাতন)
ব্রজ-গৌর-মণ্ডল হতে—এনেছ টেনে নিজগুণে
হা গৌর ! প্রাণ-গৌর !—একবার দেখা দাও
যদি,–এনেছ টেনে নিজগুণে—একবার দেখা দাও
চিতচোরা প্রাণগৌর—একবার দেখা দাও
এনেছ টেনে নিজগুণে—কেন দেখা দিবে না
দেখিতে তো পাই নাই মোরা
দেখিবার নেত্র নাই মোদের—দেখিতে তো পাই নাই মোরা
প্রেম-নেত্র্রের বিকাশ কর
দেখিবার নেত্র নাই মোদের—প্রেম-নেত্রের বিকাশ কর
চিতচোর প্রাণগোরা—প্রেম-নেত্রের বিকাশ কর
কোথা বিহরিছ প্রাণগৌর লয়ে—আমাদের,–একবার দেখাও হে
তোমার,–গৃহবাসী গোরাশশী লয়ে—কোথায় আছ কাশীমিশ্র
এই গম্ভীরার গোরাশশী—আমাদের,–একবার দেখাও হে
বড় আশা করে এসেছি মোরা—আমাদের,–একবার দেখাও হে
তোমার গৌর তোমারই থাকবে—ভয় নাই আমরা লয়ে যাব না
আমরা,–কি দিয়ে তাঁরে বেঁধে রাখব
কপটতার মূরতি মোরা—কি দিয়ে তাঁরে বেঁধে রাখব
দুর্ব্বাসনার কিঙ্কর মোরা—কি দিয়ে তাঁরে বেঁধে রাখব
আমরা,–ভালবাসতে জানি না—কি দিয়ে তাঁরে বেঁধে রাখব
ভাল বাসতে পারি নাই বলে—তাই এসেছে আমাদের ছেড়ে
কেবল একবার দেখব
চিতচোরা মুরতিখানি—কেবল একবার দেখ্ব
হৃদিপঁটে এঁকে নিব—অনুভব করব
মূরতি কত শকতি ধরে
যার,–নামে প্রাণ উন্মাদন করে—তার,–মূরতি কত শকতি ধরে
যাঁর,–নামে ঘরের বাহির করে—তার,–মূরতি কত শকতি ধরে (মাতন)
তাই এসেছি এই নীলাচলে
গৌরলীলা দেখব বলে—তাই এসেছি এই নীলাচলে
চিতচোরা মূরতি খানি—হৃদিপটে এঁকে নিব
মহারাস-বিলাসের পরিণতি—একবার দেখাও হে
বিলাস-বিবর্ত্ত-মূরতি—একবার দেখাও হে
রাই কানু একাকৃতি—একবার দেখাও হে
একবার দেখব—পাগল হয়ে বেড়াব
গৌরলীলা হৃদে ধরুক—সবাই মিলে ভোগ করুক
পাগল হয়ে বেড়াই মোরা—সবার গৌরাঙ্গ-ভোগ দেখে
প্রাণ-বিশ্বম্ভর লয়ে—বিশ্ব পরিপূর্ণ করি
হা গৌর ! প্রাণ গৌর ! –একবার দেখা দাও
প্রাণে প্রাণে ভোগ করাও
ত্রিকালসত্য-লীলা—প্রাণে প্রাণে ভোগ করাও
সমবেত নর-নারীর—প্রাণে প্রাণে ভোগ করাও
তোমার,–মধুর-লীলা ভোগ করি—সবাই তোমার গুণে ঝুরুক
গৌরহরি হরিবোল—নীলাচলে উঠুক রোল
‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌরহরিবোল।