সহচরী ধায় আনিতে চেতনী
আনি আহীরিণী এক।
দেখিয়া নাটিকা করে কর ধরি
বুঝিলা যে পরতেক।।
“নহে জ্বর-জ্বালা দেব অপঘাত
কোন বা বায়ুর জোর।
বুঝিতে নারিল কি হেতু ইহার
মনেতে হইল ভোর।।
বুঝিতে নারিল নাটিকা চঞ্চল
না হয় এ জ্বর-জ্বালা।
নহে দেবঘাত নহে সান্নিপাত
নহে উপদেব-খেলা।।
নাটিকা ভিতরে কিছু না পাওল
শুন বৃকভানু-রাজে ।
দেখি তন্ত্র মন্ত্র ঝাড়িয়ে সুতন্ত্র
বসিয়া ঘরের মাঝে।।”
আনি স্বর্ণ-ঝারি তাহা করে ধরি
পড়ে মন্ত্র বারে বার।
ঝাড়ি অনিবার তন্ত্র করি সার
চৈতন্য না হয় তার ।।
তার পর গলে বান্ধি কুতূহলে
ঔষধি বান্ধিল রামা।
নহে নিবারণ দ্বিগুণ বাঢ়ল
তাহে কিছু নহে ক্ষমা।।
অনেক প্রকার প্রবন্ধ করিল
তাহাতে না হয় ভাল।
আর কোন মন্ত্র ঝাড়িয়ে সুতন্ত্র
কাণে শুনাইলে ভাল।।
জ্বালিয়া অনল তাহে ধূণা দিল
মায়ের নির্ম্মিত বাণ।
উপদেব হ’ত তখনি ছাড়িত
দ্বিজ চণ্ডীদাস গান।।