সহর ফিরায়ে ধনী রমণীর শিরোমণি
লীলাবতী চামর ঢুলায়।
চম্পাবতী আদি নারী এ নব অষ্ট নারী
সেবা করে মনে অভিপ্রায়।
ফিরাইল বিনোদিনী নব নব গোপিনী
সবে লয়ে গেল সেই কুঞ্জে।
এই লীলা রচে কান আইল সে কুঞ্জদাম
দেখ ইহা সব নবপুঞ্জে।।
করিতে রাসের রস মদনে হইয়ে বশ
রচিলা নাগরবর কান।
কহেন রসিক রায়– “মোর মনে হেন ভায়
বিন্ধল মদন-শর বাণ।।”
পুনঃ ধনী করে বেশ বাঁধল চাঁচর কেশ
বেণীর বন্ধান করে ছাঁদে।
নব মল্লিকার মাল বেড়িয়া কনকজাল
মানিক কোঁপানি দিয়া বাঁধে।।
সিঁথায় সিন্দুর শোভা যেমনে রবির আভা
তাহে শোভে চন্দনের বিন্দু।
মেঘ হইতে যেন শশী আসিয়া যেমন বসি
কত ঘটা ছটা কোটী ইন্দু।।
অধর রাতুল দেখি হিঙ্গুল কিসে বা লখি
নাসার বেশর ঝলমল।
কাঁচুলি সে অনুপাম বেড়িয়া মুকুতাদাম
অনুপাম কি তার সুন্দর।।
নানা আভরণ সাজে কিঙ্কিণী সুচারু বাজে
চরণে নূপুর করে ধ্বনি।
কি আনন্দ দেখি তায় মনমথ মূরছায়
চণ্ডীদাস যাইছে নিছনি।।