সারথী লইয়ে তোর নাগর গেল বনে, ওলো দূতী, আজি ভাল না দেখিল গতি। ধু
কানাই ঠাকুর বনে গেল হরষিত চিত,
নগরের নাগরী যত গাইতে রৈল গীত। (ওলো দূতী)
খেমটা খেয়াল চৌপা ধামাল দেয় শত শত,
সারথী করিল তারা অপনার মত। (ওলো দূতী)
কেহ হাতে কাঙ্কন দেয়, কেহ আনে শাড়ি,
বধূরে সাজায়ে তারা ফিরে বাড়ী বাড়ী । (ওলো দূতী)
এক সখী উঠে বলে, ‘কানু মোর সারথী, প্রলোভনে মজাইব বধূর মুরতি। (ওলোদূতী)
আরেক সখী বলে, ‘কানে শুন বধূ মাই, কামিনী কাঞ্চন বিনে আর কিছু নাই।
কানাই ঠাকুম মত্ত হৈল হয়ে বনবাসী, চেয়ে দেখে চুরি হৈল লগুণ আর বাঁশী।
তনার সনে মনার খেলা শোভে হার গলে, চন্দন ছিটায়ে তারা মুতি নিল ছলে।
ওহে জহুর ‘করতু গউর’ দুরবিন হাতে নিয়ে,
ভাল মতে চায়ে দেখ সব গেছে গয়ে।