সুবলে দেখিয়া রাই বহু প্রশংসিল।
দুজনার গলায় মালা সুবল-গলে দিল।।
সুবলের বেশভূষা সুবলেরে দিল।
আপনার বেশভূষা আপনি পরিল।।
সূর্য্যপূজার আয়োজন যত কিছু ছিল।
রাধাকৃষ্ণের অগ্রেতে তাহা নিবেদিল।।
শ্রীকুণ্ডের অকুলে কেলি-কদম্ব কুটীরে।
কানু সহ কিশোরি কুসুম কেলি করে।।
হেনকালে ঘোর ঘন্টা শঙ্খের ঘোষণে।
শুনইতে রাই শ্যাম চমকিত মনে।।
দেবী দূরে দেখে রাই সুবল বেশে আছে।
সভে মেলি কুতুহলি গেলা তার কাছে।।
শঙ্কাশূন্যা হইলা রাই কানুর সহিতে।
প্রণাম করিল রাই দেবীর সাক্ষাতে।।
সব সখি পাশরিল পূজার পসার।
সুখের সাগরে মগ্ন মন সভাকার।
রাধিকা সুন্দরী বেশ রাখিলেন খুলি।
নিজ নিজ বেশ দোঁহে কুতুহলি।।
রাধিকা সম্বরে দেবি সহাস সম্ভাষে।
আঁখি ঠারি সুবলেরে করে পরিহাসে।।
সুবল সুশিষ্ট পূর্ব্বে জ্ঞান ছিল মোর।
চোরের সহিতে থাকি সেহ হইল চোর।।
উত্তর না করে দোঁহে মুখে মৃদু হাস
মনে মনে সূর্য্য ভেল গোবিন্দদাস।।