সোণার পুথলি অবনী-উপরে
যেন ঘন পড়ি যায়।
নিশ্বাস-হুতাশে নাসার মুকুতা
হেলিছে দুলিছে বায়।।
তা দেখি গোপিনী মনে অনুমানি
রাধা মনে আছে জিয়া।
হেন মনে ছিল রাধা কি বাঁচিব
এহেন বিরহ পেয়া।।
“উঠ উঠ, ধনী, রাধা বিনোদিনি,
এত অগেয়ান কেনে।
যে দেখি তোমার চরিত বেভার
পরাণ হারাবে মেনে।।”
এত বলি এক মর্ম্মসখী ছিল
ধরিয়া তুলিল রাধা।
মুখের জল দিয়া ধরিয়া তুলিয়া
দেখল সকল বাধা।।
চৌদিকে নেহালি নয়নেতে ভালি
সকল আন্ধার হেন।
ঘরের প্রদীপ যেনক নিভায়ে
অন্ধকার হয়ে যেন।।
গোকুল উজর আছিল তখন
এখন কানন ভেল।
চণ্ডীদাস কহে– “অক্রূর অছিল
কানু হরে নিয়ে গেল।।”