হাসিয়া হাসিয়া নাগর রসিয়া
না’খানি উজান বাহে।
দরিয়া হইতে ওপার করিলা
নৌকা কূলে গিয়া রহে।।
জনে জনে সবে আনন্দ হইলা
ওপরার হইল রাধা।
জনে জনে ঘরে চলিলা হরষে
আন নাহি কিছু রাধা।।
এত বলি সবে গেলা নিজ-গৃহে
আহীর-রমণী যত।
পশরা এলায়ে গৃহ সমপিয়া
গৃহপতি বলে কত।।
“এতক্ষণ কেনে বেলি অবসানে
আইলা গৃহের মাঝ।
ছি ছি মুখে যেন লজ্জা নাহি বাস
মুণ্ডেতে পড়ুক বাজ।।
কুল কুলটিনী তোরা কলঙ্কিনী
আনের রমণী ভাল।
এ ঘরে কিরূপে কেমনে বঞ্চিব
বাহির হইয়া চল।।”
গৃহপতি কহে, সবে কহে তাহে
“যমুনা দু’ধার বহি।
তে কারণে মোরা পার হতে নারি
বিলম্ব গমন রহি।।”
চণ্ডীদাসে বলে– “এই মিথ্যা নহে
যমুনা-তরঙ্গ বড়ি ।
হয় নয় ডাকি সুধাহ তোমরা
বিদ্যমান আছে বুড়ী ।।”