হেথা কানু যত পার করি গোপী
গোঠেতে পড়িল মন।
“কেমনে তা সবা কিরূপ কহিব”
চলিতে বচন কন।।
চতুর মুরারি মনেতে ভাবিলা
ইহার উপায় এই ।
করিল সৃজন কমল-লোচন
চোরা বলি দুটি গাই।।
সেই গাই সনে চলিলা সঘনে
কানাই চতুর-মণি।
গাভীর পুচ্ছেতে বাস কর দিয়া
করিলা একটি ধ্বনি।।
হৈ হৈ রব শুনি ব্রজশিশু
তুরিতে আইলা ধেয়ে।
“কোথা কার ভাবে গিয়েছিলে তুমি
কহিবে কানাই ভেয়ে।।”
ভাণ্ডার-কাননে দিলা দরশন
মিলিলা ব্রজের বালা।
কানুরে বালক কহিছে সকল–
“তুমিহ কোথায় ছিলা।।”
চণ্ডীদাস বলে– “কিবা সে বুঝিব
অপার যাহার লীলা।
কে পারে বুঝিতে কাহার শকতি
মুরতি রসের কালা।।”